নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ডে তিহার জেলের অন্দরমহলে কী ঘটছে ! ফাঁসুড়ে ঘিরে কোন গুঞ্জন চরমে
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর দিল্লির রাস্তায় নারকীয় গণধর্ষণ করা হয়েছিল ২৩ বছরের তরুণী নির্ভয়াকে। লোহার রড যৌনাঙ্গে ঢুকিয়ে করা হয়েছিল ধর্ষণ। আর সেই অপরাধের মামলা ২০১৯-এ ৭ বছরে পড়ল। ইতিমধ্যেই এই কাণ্ড ঘিরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাষ্ট্রপতির কাছে রেকমেন্ডেশন পাঠিয়ে দিয়েছে। এরপর থেকেই তিহার জেলের অন্দরমহলে নেওয়া হচ্ছে একাধিক পদক্ষেপ।
তিহারে মেরঠ থেকে ডেকে পাঠানো হল ফাঁসুড়েকে!
নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ড ঘিরে রীতিমতো হইচই চলছে রাজধানীতে। তিহার জেলের মধ্যে একাধিক প্রস্তুতি শুরু হচ্ছে বলে খবর আসছে। সেখান থেকে এবার মেরঠে ডাক গিয়েছে ফাঁসুড়ের খোঁজে। উল্লেখ্য, গত ৮ ডিসেম্বরেই মন্ডোলি জেল থেকে তিহার জেলে পাঠানো হয়েছে নির্ভয়া কাণ্ডের বাকি ১ জন দোষীকে। আপাতত ৪ দোষীই রয়েছে তিহারে। এরপর থেকেই তিহারে শুরু হয়েছে একাধিক উদ্যোগ।
৬ জন অভিযুক্ত থেকে ৪ জন দোষী আপাতত জেলবন্দি
নির্ভয়াকাণ্ডে মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ চলেছিল। এরপর আদালতের বিচারে অভিযুক্তদের মধ্যে ছাড়া পেয়ে যায় এক নাবালক। এরপর আরও এক অভিযুক্ত আত্মহত্যা করে। এরপর থেকে ধর্ষক অক্ষয় ঠাকুর, মুকেশ সিং, বিনয় ঠাকুররা রয়েছে তিহারে।
বিহারে আদৌ কি তৈরি হচ্ছে ফাঁসির দড়ি?
বেশ কয়েকটি রিপোর্ট বলছে, বিহারের বক্সার জেলকে দেওয়া হয়েছে ফাঁসির দড়ি প্রস্তুতির কাজ। ১০ টি নতুন ফাঁসির দড়ি প্রস্তুতির নির্দেশ বিহারের জেলের কাছে এসেছে। প্রসঙ্গত, দেশের বিভিন্ন হাই প্রোফাইল মৃত্যুদণ্ডের ঘটনাতে বিহারের বক্সার জেল থেকে গিয়েছিল ফাঁসির দড়ি। তবে এবার এই দড়ি কেন তৈরি হচ্ছে তা জানেননা বিহারের বক্সার জেল কর্তৃপক্ষ। যদিও এই ধরনের রিপোর্ট মানতে রাজি নন তিহার জেল কর্তৃপক্ষ।
১৬ ডিসেম্বরের প্রস্তুতি
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে দিল্লির বুকে নারকীয় গণধর্ষণ করা হয় নির্ভয়াকে। এরপর শোনা যাচ্ছে, ২০১৯ সালের ১৬ ডিসেম্বরই এই কাণ্ডা ধর্ষকদের ফাঁসির সাজা হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে। যদিও সমস্তটাই গুঞ্জন বলে দাবি করছে একটি সূত্র।