ফলবিক্রেতা থেকে বাস চালক, নির্ভয়ার ৬ ধর্ষক সম্পর্কে কিছু তথ্য
দোষী ছিল ৬ জন। যাদের মধ্যে ৪ জনকে আজ মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে । নির্ভয়াকাণ্ডের শেষ পরিণতি আজ সম্পন্ন হয়েছে তিহার জেলে। উল্লেখ্য, ২০১২ সালের সেই আতঙ্কের গণধর্ষণে রাতে যারা নির্ভয়ার শরীরে লোহার রড ঢুকিয়ে তাঁর অন্ত্র, পাকস্থলীতে ক্ষত বিক্ষত করেছিল, সেই ধর্ষকদের পরিচিতি নিয়ে কয়েকটি তথ্য দেখে নেওয়া যাক।
মুকেশ সিং
৩৩ বছরের মুকেশ সিং বাসের ক্লিনার ছিল। তার দাদা রাম সিংয়ের সঙ্গে সে কাজ করত। উল্লেখ্য, এই মুকেশই নির্ভয়ার শরীরে লোহার রড ঢুকিয়ে নারকীয় অত্যাচারে উল্লাসিত হয়ে এঠে ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বরের রাতে।
বিনয় শর্মা
২৭ বছরের বিনয় ছিল জিম ইনস্ট্রাক্টর। ২০১২ সালের সেই আতঙ্কের রাতে তার ৫ সঙ্গীর সঙ্গে বিনয়ও নির্ভয়া গণধর্ষণে শরিক হয়। এজন্য চলন্ত বাসের স্টিয়ারিং তখন সে মুকেশকে দিয়ে দেয়। আর নারকীয় লালসায় মত্ত হয়ে ওঠে।
পবন গুপ্ত
পেশায় ফলবিক্রেতা ছিল পবন গুপ্ত। ২৫ বছরের পবন আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছিল , সে ঘটনার দিন দিল্লিতেই ছিল না। যদিও তা খারিজ হয়ে যায় আদালতে। তার পরিবারের দাবি ছিল, মাংস ও মদ খেয়ে সেই রাতে বাড়ির সামনের পার্কে সে গান শুনতে যায়। উল্লেখ্য, পবন জেলের মধ্যেই নিজের স্নাতকের পাঠ সম্পন্ন করেছে।
রাম সিং
ঘটনায় ৩৩ বছরের রাম সিং ছিল অন্যতম দোষী। ঘটনার দিন সে বাস চালাচ্ছিল বলে জানা যায়। এই রাম সিংই বাসের ক্লিনার মুকেশের ভাই। ঘটনাস্থল থেকে রাম সিং এর জামার টুকরো পায় পুলিশ। যে টুকরোতে ছিল রক্তের দাগ। এরপর পেশায় বাস চালক রাম সিংকে ধরতে সময় লাগেনি পুলিশের। যদিও জেলে রাম সিং আত্মহত্যা করে পরে।
নাবালক
ধর্ষণে অভিযুক্ত ছিল এক নাবালকও। যার নারকীয় অত্যাচার অনেককেই অবাক করেছে। শুধুমাত্র নাবালক হওয়ার দায়ে সেই অভিযুক্তকে অব্যহতি দেওয়া হয় মামলা থেকে। ঘটনার সময় তার বয়স ছিল ১১ বছর।
অক্ষয় ঠাকুর
অভিযুক্ত অক্ষয় সিং ঠাকুরের বয়স ৩৩।বিহারের অউরাঙ্গাবাদের এই যুবক বিবাহিত। তার স্ত্রী সাম্প্রতিককালে একটি ডিভোর্সের মামলা দায়ের করেছিলেন। স্ত্রীয়ে দাবি ছিল ধর্ষকের বিধবা হয়ে তিনি সারা জীবন কাটাতে পারবেন না। উল্লেখ্য, ঘটনার দিন অক্ষয় ওই বাসে গণধর্ষণের পাশবিকতায় সামিল হয়।