নির্ভয়াকাণ্ডে মধ্যরাতের রুদ্ধশ্বাস শুনানি শেষ! তিহারে আর খানিকক্ষণ বাদেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
যাবতীয় জারিজুরি শেষ। প্রাণভিক্ষার একাধিক পন্থাও শেষ। আজই ফাঁসি হচ্ছে নির্ভয়ার দোষীদের। ৭ বছর ধরে দেশের আইনের মুখাপেক্ষী নির্ভয়ার পরিবার। দিল্লির নারকীয় গণধর্ষণের পর মেয়ের মৃত্যুশোক বুকে নিয়ে এই পরিবার লড়াই চালিয়েছে দোষীদের শাস্তির দাবিতে। আর সেই আইনি লড়াই যাবতীয় নাটকীয়তা পেরিয়ে এবার শেষ পর্যায়ে। আর খানিকক্ষণের মধ্যেই নির্ভয়ার দোষীদের ফাঁসি!
চতুর্থ দোষী পবন গুপ্তর ফাঁসি রদ হলনা
নির্ভয়া গণধর্ষণ কাণ্ডে চতুর্থ দোষী পবন গুপ্তর ফাঁসির আবেদন তথা প্রাণ ভিক্ষার আবেদনও মধ্যরাতের শুনানিতে খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট। রাষ্ট্রপতির কাছে তাঁদের প্রাণভিক্ষার আবেদন এর জেরে নস্যাৎ হয়ে যায়। শীর্ষ আদালত জানায়, রাষ্ট্রপতির কাছে এই নিয়ে ফের আবেদনের কোনও ভিত্তিই নেই। ফলে পবন গুপ্তর প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ হয়।
রাত আড়াইটেয় শুরু হয় শুনানি
অভূতপূর্ব এক দৃষ্টান্ত রেখে দেশের শীর্ষ আদালত রাত আড়াইটের সময় থেকে নির্ভয়াকাণ্ডে শুনানি শুরু করে। আদালতে ততক্ষণে রুদ্ধশ্বাস মুহূর্ত। পৌঁছে যান নির্ভয়ার বাবা মা। তবে কোর্ট চত্বরে ঢুকতে পারেননি করোনা আতঙ্কর জেরে।
রাত পৌঁনে ৩ টেয় তুষার মেহতা পৌঁছন, শুরু হয় শুনানি
আদালতে শুনানি শুরু হতেই দোষীদের পক্ষের আইনজীবী সওয়াল করেন যে তাঁর মক্কেলরা সেই সময় নাবালক ছিল। আদালত জানিয়ে দেয় এই দাবি পুরনো, আর পুরনো দাবি নিয়ে আদালত কথা বলতে রাজি নয়।
পবন গুপ্তর দাবি
এরপর আদালতে পবন গুপ্ত দাবি করে যে সে তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করবে। একই সঙ্গে পবন গুপ্তর নাবালক হওয়ার দাবি আর পরিবারের সঙ্গে দেখা করার দাবি খারিজ করে আদালত। ভারতের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয় যে ২০ মার্চ নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ভোর সাড়ে ৫টায় ফাঁসি হচ্ছে নির্ভয়ার দোষীদের।