ফাঁসিকাঠের পাশের সেলে স্থানান্তরিত নির্ভয়াকাণ্ডের সাজাপ্রাপ্তরা
রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানানোয় ২২ জানুয়ারি ফাঁসি দেওয়া যাবে না নির্ভয়াকাণ্ডের দোষীদের।
রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানানোয় ২২ জানুয়ারি ফাঁসি দেওয়া যাবে না নির্ভয়াকাণ্ডের দোষীদের। তা সত্ত্বেও ফাঁসির প্রস্তুতি তুঙ্গে। সূত্রের খবর, ফাঁসির কোঠার নিকটবর্তী সেলে স্থানান্তরিত করা হয়েছে সাজাপ্রাপ্তদের। এর আগে দিল্লি হাইকোর্ট এক নির্দেশ দিয়ে জানিয়ে দেয় যে ২২ জানুয়ারি নিরভয়া কাণ্ডের সাজাপ্রাপ্তদের ফাঁসি কার্যকর করতে হবে।
একই সেলে চার সাজাপ্রাপ্ত
এদিকে চার সাজাপ্রাপ্তকেই একটি সেলে বন্দী রাখা হয়েছে আপাতত। সেই সেলে দুটি সিসিটিভি ক্যামেরার বন্দোবস্ত রয়েছে। পাশাপাশি ২-৩ জন গার্ড সর্বক্ষণ নজরে রাখছে বন্দীদের। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পবন, অক্ষয় ও মুকেশ জেল নম্বর ২-এ ছিল। শুধু মাত্র বিনয় ৩ নম্বর জেলে ছিলেন। গতকালই তাদেরকে একসঙ্গে স্থানান্তরিত করা হয়।
কাঠের পাশের সেলে স্থানান্তরিত সাজাপ্রাপ্তরা
এদিকে ফাঁসির কোঠার কাছে তাদের স্থানান্তরিত করা হলেও তাদের এখনই ফাঁসি হচ্ছে না বলে জানান এক জেল আধিকারিক। কারণ সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ হলে তবেই ফাঁসি দেওয়া সম্ভব হবে। দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে আগামী ২২ জানুয়ারি দেওয়া হবে না নির্ভয়া কাণ্ডে ধর্ষকদের ফাঁসি। কারণ আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির অনুমোদন এক্ষত্রে কাম্য। আর তা এখনও পর্যন্ত আসেনি। তাই সমস্ত প্রিক্রিয়া সম্পন্ন অপেক্ষায় রয়েছে জেল কতৃপক্ষ।
কিসের অপেক্ষা?
আইনত ফাঁসির সাজা দেওয়ার পর ১৪ দিন সময় দিতে হয় আসামীকে। যাতে তারা নিজের মতো পুজো পাঠ বা পরিবারের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ পর্ব সেরে ফেলতে পারেন। তবে , যেহেতু রাষ্ট্রপতি এখনও এই মর্মে কোনও সম্মতি দেননি, তাই ২২ তারিখ নির্ভয়ার দোষীদের ফাঁসির দিন ধার্যকরা এখনই সম্ভব নয়।
অবিলম্বে ফাঁসি কার্যকর করার রায়
এর আগে, নির্ভয়াকাণ্ডে ৪ জন দোষীর বিরুদ্ধে ফাঁসি অবিলম্বে কার্যকর করার রায় শুনিয়ে ছিল দিল্লি আদালত। সেই মতো ২২ তারিখ ফাঁসির দিন ধার্য হয়। ঠিক হয় , ২২ জানুয়ারি সকাল ৭ টায় দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে। এদিকে, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে দোষী মুকেশ সিং ও বিনয় কুমার কিউরেটিভ পিটিশন দাখিল করে সুপ্রিমকোর্টে। তবে শীর্ষ আদালত তাদের সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।
তৈরি হচ্ছে তিহার
জানা গিয়েছে, তিহারের জেল নম্বর ৩ এ সম্পন্ন করা হবে ৪ দোষীর ফাঁসির সাজা। সেখানেই ৪ জন দোষীকে একসঙ্গে ফাঁসিকে সাজা দেওয়া হবে , বলে জানিয়েছে তিহারের সূত্র। জানা গিয়েছে, জেলে ফাঁসির ফ্রেম ও দড়ির সঙ্গে আনা হয়েছে জেসিবি।
সেই অভিশপ্ত রাত
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাজধানী দিল্লির সড়কে একটি বাসের মধ্যে নারকীয় গণধর্ষণ চালানো হয় এক তরুণীর উপর। বাসে বছর তেইশের নির্ভয়াকে গণধর্ষণ, ভয়াবহ মারধর এবং যৌন অত্যাচার করে রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দিয়ে গিয়েছিল ছ'জন। এরপর বহুদিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শেষে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন। মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ার পরে অবশেষে সেই বছরই ২৮শে ডিসেম্বর মৃত্যু হয় নির্ভয়ার। আর গোটা দেশ তাঁকে 'নির্ভয়া ' নামের পরিচিতি দেয়। সেই নির্ভয়াকাণ্ডের ৭ বছর কেটে গিয়েছে। অভিযুক্ত ওই ছয়জন কে যৌন নিপীড়ন ও হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন নাবালক, এবং অন্য একজন তিহার জেলেই আত্মহত্যা করেন।
কাশ্মীরের বিমানবন্দরে রাতারাতি কোন নির্দেশ! জঙ্গিদের সঙ্গে পুলিশকর্তা ধৃত হতেই তৎপরতা