রাষ্ট্রপতির কাছ পাঠানো প্রাণভিক্ষার আবেদন প্রত্যাহার করতে চাইল নির্ভয়াকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত বিনয়
রাষ্ট্রপতির কাছ পাঠানো প্রাণভিক্ষার আবেদন প্রত্যাহার করতে চাইল নির্ভয়া কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত বিনয় শর্মা। তার দাবি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো আবেদনে তার সই নেই। প্রসঙ্গত শুক্রবারই বিনয়ের ক্ষমাপ্রার্থনা খারিজ করার আবেদন জানিয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখেছিলেন নির্ভয়ার মা।
৪ অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়
২০১২ সালের ডিসেম্বরে দিল্লি গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৪ অভিযুক্তকে আগেই দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বিনয় শর্মা নামের অন্যতম দোষী রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমাপ্রার্থনার জন্যে আবেদন করেন। অন্য এক অভিযুক্ত রাম সিং জেলের মধ্যেই আত্মহত্যা করে। চতুর্থ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অভিযুক্ত অক্ষয় কুমার সিং সুপ্রিম কোর্টে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেনি।
ক্ষমাপ্রার্থনা প্রত্যাখানের প্রস্তাব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বিবেচনা ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য ফাইলটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছে। নির্ভয়া গণধর্ষণ মামলার অন্যতম সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির করুণার আবেদন প্রত্যাখ্যানের প্রস্তাবই ওই ফাইলটিতে করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঘটে সেই ঘটনা
২৩ বছর বয়সী ওই প্যারামেডিক্যাল ছাত্রীকে ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর দক্ষিণ দিল্লির চলন্ত বাসের ভিতরে গণধর্ষণ করে ৬ জন । প্রতিবাদ করলে তাঁকে লোহার রড দিয়ে নৃশংসভাবে মারা হয়। তাঁর সঙ্গে থাকা পুরুষ বন্ধুকেও মারাত্মকভাবে মারধর করা হয়, এবং তারপর দুজনকেই নির্জন স্থানে বাস থেকে ফেলে দেওয়া হয়। ঘটনার ১৩ দিন পরে ২৯ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে মারা যান নির্যাতিতা।
বিনয়ের আবেদন খারিজ করে দিল্লি সরকার ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক
এর আগে বিনয় শর্মার ক্ষমাপ্রার্থনার আবেদন খারিজ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এর আগে এই একই আবেদন জানিয়ে দিল্লি সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিল দোষী সাব্যস্ত। দিল্লি সরকারের তরফে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বাইজাল সেই আবেদন খারিজ করে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে পাঠিয়ে দেয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও একই পথে হেঁটে আবেদনটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দেয়। তবে সেই আবেদনই এবার খারজ করতে বলল বিনয়।