নির্ভয়াকাণ্ডের দোষী মুকেশকে যৌন নির্যাতন তিহারে জেলের ভিতরে! আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি মুকেশের
নির্ভয়াকাণ্ডের দোষীকে যৌন নির্যাতন তিহারে! আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি মুকেশের
২০১২ সালে রাজধানীর রাজপথে নারকীয় অত্যাচার চলে নির্ভয়ার ওপর। তরুণীর যৌনঙ্গে রড ঢুকিয়ে চলেছিল সেদিনের গণধর্ষণ। আর সেই ঘটনায় দোষীদের ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছে । নির্ধারিত হয়েছে মৃত্যুদণ্ডের দিনক্ষণ। আর এবার সেই ঘটনায় দোষী মুকেশ সিং দাবি করেছে, তিহার জেলে তাকে যৌন নির্যাতন করা হয়। আর এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে শুরু হয় তোলপাড়।
তিহারে যৌন নির্যাতনের শিকার মুকেশ!
এদিন সুপ্রিমকোর্টে মুকেশের প্রাণভিক্ষার আর্জি সংক্রান্ত আবেদনের মামলা চলছিল। তখনই মুকেশ দাবি করে যে তিহারে তাকে যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। মুকেশের তরফের আইনজীবী এদিন দাবি করেন যে জেলের ভিতর দোষী রাম সিংকেও হত্যা করা হয়েছে, তবে সেটিকে 'আত্মহত্য়া'র নাম দিয়ে চালানো হয়। প্রসঙ্গত ২০১৩ সালে রাম সিংয়ের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়।
কী জানিয়েছে মুকেশ?
'আদালত আমাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। আমাকে কি ধর্ষিত হওয়ার শাস্তি দেওয়া হয়েছে? ' এই প্রশ্ন এদিন সুপ্রিম কোর্টে তোলেন নির্ভয়াকাণ্ডের দোষী মুকেশ সিং। এরপরই সে নিজের একক বন্দি দশা নিয়েও একধিক দাবি করে।
মৃত্যুর আতঙ্ক গ্রাস করছে!
মুকেশ এদিন আদালতে জানিয়েছে, 'গত ৫ বছর ধরে মৃত্যুর আতঙ্ক ক্রমাগত গ্রাস করছে আমায়।' আর এই মর্মেই মুকেশ বারবার আদালতে দাবি করেছে যে তাকে মৃত্যপদণ্ড থেকে অব্যহতি দেওয়া হোক।
আদালতের তরফে সলিসিটার জেনারেলের প্রশ্ন
এরপর আদালতের তরফে সলিসিটার জেনারেল জানিয়ে দেন, যদি ধরেও নেওয়া হয় যে কোনও খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে মুকেশের সঙ্গে জেলে, তাহলেও তাকে কিছুতেই ক্ষমা করা যায়না। এই প্রসঙ্গে মুকেশকে ভর্ৎসনাও করে আদালত। এদিকে, আদালতে বিচারপতিদের বেঞ্চ মুকেশকে প্রশ্ন করে যে রাষ্ট্রপতিকে এই মর্মে কেন কোনও বক্তব্য পেশ করেননি মুকেশের আইনজীবীরা।
নির্ভয়াকাণ্ড ও সাজা
নির্ভয়াকাণ্ডের বিচারে আদালতের বার্তার পরই রাষ্ট্রপতির শিলমোহর পড়ে দোষীদের শাস্তিতে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ঘটনায় দোষী মুকেশ, পবন , বিনয় কুমার, অক্ষয় কুমারকে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ভোর ৬ টায় ফাঁসি দেওয়া হবে। তারপরই এই প্রাণভিক্ষার আর্জি জমা পড়ে আদালতে।