নীরবকাণ্ডে ইডির চার্জশিটে চাঞ্চল্যকর তথ্য, টাকা হাতানোর পরিমাণ জানলে অবাক হতে হয়
ব্যাঙ্ক জালিয়াতির দায়ে অভিযুক্ত হীরে ব্যবসায়ী নীরব মোদীকে নিয়ে উঠে এল আরও বড়সড় তথ্য। বদুদিন ধরেই বিদেশে রয়েছেন পলাতক নীরব মোদী।
ব্যাঙ্ক জালিয়াতির দায়ে অভিযুক্ত হীরে ব্যবসায়ী নীরব মোদীকে নিয়ে উঠে এল আরও বড়সড় তথ্য। বদুদিন ধরেই বিদেশে রয়েছেন পলাতক নীরব মোদী। এদিকে, তাঁর জালিয়াতিকাণ্ডের তদন্তে নেমে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশিত হয়েছে ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরোক্টোরেট)-এর রিপোর্টে। জানা গিয়েছে মোট ৪, ২৯৯ কোটি টাকা নিজের নামে করে নিয়েছিলেন নীরব। শুধু নিজের নয়, নীরবের পরিবার ও তাঁর ফার্মের ঘরেও ঢোকে এই পরিমাণ বিশাল অর্থের একাংশ।
এই টাকা নীরব হাতিয়েছেন , ১৫ টি ভুয়ো সংস্থার নামে। তিনি ব্যাঙ্কে দেখিয়েছেন হংকং ও আমিরশাহী মিলিয়ে তাঁর একাধিক সংস্থা রয়েছে। আর সেই ভুয়ো তথ্য দিয়েই টাকা হাতিয়ে নেন এই হীরে ব্যবসায়ী। এমনই তথ্য জানিয়েছে ইডির চার্জশিট। নীরবের বো পূরবী, বোনের জামাই মৈনাকের নামে সংস্থাগুলি রয়েছে বলে 'ভুয়ো' পরিচিচি দেন নীরব। এই সমস্ত সংস্তার নাম পেসিফিক জেমস, ইউনিটি ট্রেডিং কম্পানি, ভিস্তা জুয়েলারি ইত্যাদি। ইডির চার্জশিটে এদিন নীরব ও তাঁর বোনের জামাই মৈনাককে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এছাড়াও এল ও ইউ-এর ১৩৭ কোটি টাকা এদেশে নীরবের ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যকাউন্টে রাখা হয়েছে। ১, ৮১১ কোটির মধ্যে ৭৮৬ কোটি বোন পূরবীর নামে ও ৩৪১ কোটি জামাই মৈনাকের নামে তিনি পাঠিয়ে দেন। আর্থিক তছরূপের বিভিন্ন ধারায় এদিন নরব মোদীকে অভিযুক্ত করে ১২ হাজার পাতার চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। এদিকে, নীরব মোদীর পিএনবি প্রতারণা কাণ্ডে তদন্তকারী সিবিআই-এর যুগ্ম আধিকারিক রাজীব সিংকে ফেরত পাঠানো হয়েছে নিজের রাজ্য ত্রিপুরায়। সিবিআই-এর তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে। নীরব মোদী কাণ্ডের তদন্ত ছাড়াও, আইসিআইসিআই, ভিডিওকন গোষ্ঠীর ঋণ-সহ ব্যাঙ্কের বিভিন্ন প্রতারণার তদন্তে ছিলেন রাজীব সিং।