কোঝিকোড় মেডিকেলে মৃত আরও দুই, নিপা ভাইরাসে এখনও মিলছে না কোনও উত্তর
কেরলের স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি রাজ্যের ১২ জন মানুষ নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত। তাদের ম
নিপা ভাইরাসের হানায় কোজিকোড় মেডিক্যাল কলেজে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। কেরল স্বাস্থ্য দপ্তরের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী রাজ্যের ১২ জন ব্যক্তি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে ১০ জন ইতিমধ্যেই মৃত এবং বাকি দুজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। রোগ নিরাময়ের পথ খোঁজার পাশাপাশি চলছে রোগের বাহক নির্ণয় করার চেষ্টাও। কিন্তু এখনও কোনও সাফল্য আসেনি। কোঝিকোড় জেলায় ছড়াচ্ছে আতঙ্ক।
কেরলের স্বাস্থ্য মন্ত্রক এদিন জানিয়েছে কোঝিকোড় মেডিকাল কলেজে আজ সকালে মারা যান রাজন ও অশোকান। দুজনেই কোজিকোড়ের গ্রামীন এলাকা পেরামব্রা এবং নাদপুরমের বাসিন্দা। তারা মৃতের সংখ্যা ১০ বলে দাবি করলেও বেসরকারি মতে মৃত ও আক্রান্ত দুইয়ের সংখ্যাই এর থেকে বেশি। ঠিক কত, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
এদিন কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে. কে. শৈলজা একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। তিনি জানান, আক্রান্ত বাকি দুজনেরই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। এর আগে মৃত ১৮ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। তার ফল তাদের হাতে এসেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দাবি, 'নিপা ভাইরাস মিলেছে ১২ জনের নমুনায়। তার মধ্যে পি এন লিনী নামে এক নার্সও আছেন। গত সোমবার তিনি মারা যান। বাকি ছয়টি নমুনায় নেতিবাচক ফল এসেছে।'
As of now, we have test results of 18 samples. 12 of them have been tested positive for #NipahVirus. 10 of them have already died. 2 of them are in critical condition. No new cases have been reported in the last 24 hours: Kerala Health minister KK Shailaja Teacher (File pic) pic.twitter.com/xDA6GG9lGF
— ANI (@ANI) May 22, 2018
কে কে শৈলজা জানান ন্যাসনাল সেন্টার ফর ডিসিজ কন্ট্রোল রোগের বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখছে। পাশাপাশি মঙ্গলবারই অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের একটি বিশেষ দল কোজিকোড়ে আসছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রীর দাবি সংবাদ মাধ্যমে যেরকম সংখ্যা দাবি করা হচ্ছে রোগটি ততটাও ছড়ায়নি। তাঁর মতে, বর্তমানে, জেলায় ছয় রোগীকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। চারজন রোগী আছেন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বাকি দুজন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্বাস্থ্য দপ্তর ভাইরাসটিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
রোগ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য দপ্তর সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। শৌলজা জানান, এই রোগের বিস্তৃতি সীমিত রাখতে সাবধানি কিছু ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। পাশাপাশই সচেতনতা বাড়াতে প্যামফ্লেট ছাপানো হয়েছে। এছাড়া, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিশেষ সুবিধার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।
পাশাপাশি রোগের বিস্তার এবং এর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়ে রাজ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। এবিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডার সঙ্গেও তাঁর কথা হয়েছে বলে জানান শৈলজা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ মন্ত্রক ইতিমধ্যে একটি বিশেষ দলও পাঠিয়েছে কোঝিকোড়ে।
তবে কিসের থেকে এই ভাইরাস ছড়ালো, তা এখনও হাতড়াচ্ছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক ও সংশ্লিষ্ট সবাই। কে কে শৌলজা জানান তাঁরা কোনও সম্ভাবনাই ুড়িয়ে দিচ্ছেন না। একটি মত রয়েছে বাদুর থেকে এই ভাইরাস ছড়ায়। মন্ত্রী জানান, 'পশুপালন বিভাগ বাদুরের নমুনা সংগ্রহ করেছে। তা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠানো হয়েছে। আমরা ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছি'। এছাড়া বিদেশী শ্রমিকদের মাধ্যমেই রোগটি হানা দিয়ে থাকতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।