সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির প্যানেলের ১৯ জনের নাম ফেরত কেন্দ্রের! তালিকায় কলকাতা হাইকোর্টের একাধিক নাম
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির প্যানেলের ১৯ জনের নাম ফেরত কেন্দ্রের! তালিকায় কলকাতা হাইকোর্টের একাধিক নাম
হাইকোর্টের বিচারপতি নিয়ে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের স্থবিরতা জারি। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম যে ২১ টি নাম সরকারের কাছে সুপারিশ করেছিল, তার মধ্যে থেকে ১৯ টি নাম ফের পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই ফেরত পাঠানোর বিষয়টি করা হয়েছে তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানির কয়েক ঘন্টা আগে। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু দুটি নাম গ্রহণ করা কথা জানিয়ে টুইটও করেন।
যে দুটি নাম গ্রহণ করেছে সরকার
যে
দুটি
নামে
সরকারের
আপত্তি
নেই,
তাঁরা
হলেন
বম্বে
হাইকোর্টের
বিচারপতি
হিসেবে
অ্যাডভোকেট
সন্তোষ
গোবিন্দ
চাপলগাঁওকর
এবং
মিলিন্দ
মনোহর
সাথয়েকে।
গত
১২
সেপ্টেম্বর
কলেজিয়াম
এই
দুটি
নাম
সুপারিশ
করেছিল।
সুপ্রিম
কোর্টের
কলেজিয়াম
ফের
সুপারিশের
পরে
ফেরত
আসা
১০
নামের
মধ্যে
৫
জন
এলাহাবাদ
হাইকোর্টে,
২
জন
কলকাতা
হাইকোর্টের,
দুজন
কেরল
হাইকোর্টের
এবং
একজন
কর্নাটক
হাইকোর্টের।
অন্যদিকে
বম্বে
হাইকোর্টের
প্রধান
বিচারপতি
দীপঙ্কর
দত্তকে
সুপ্রিম
কোর্টের
বিচারপতি
হিসেবে
কলেজিয়ামের
২৬
সেপ্টেম্বরের
সুপারিশ
এখনও
সরকারের
বিবেচনাধীন
রয়েছে।
কলকাতা হাইকোর্টের যে দুই নাম ফেরত
সুপ্রিম কোর্টের দ্বিতীয়বারের সুপারিশের পরেও কলকাতা হাইকোর্টের যে দুই নাম ফেরত দিয়েছে কেন্দ্র তাঁরা হলেন অমিতেশ ব্যানার্জি। তাঁর নাম প্রথমবার সুপারিশ করা হয় ২৪/0৭/২০১৯-এ। ফের সুপ্রিম কোর্ট সুপারিশ করে ০১/০৯/২০২১-এ। এছাড়াও এই তালিকায় রয়েছেন শাক্য সেন। তাঁর নাম প্রথম সুপারিশ করা হয় ২৪/০৭/২০১৯-এ। দ্বিতীয়বার সুপারিশ করা হয় ০৮/১০/২০২১-এ।
সরকারের কাছ থেকে জবাব চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট
গত ১১ নভেম্বর বিচারপতি সঞ্জয় কিশান কাউলের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ বিচার সচিবের পাশাপাশি প্রশাসন ও নিয়োগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে নোটিশ পাঠিয়ে ২৮ নভেম্বরের আগে জানতে চায় কেন কলেজিয়ামের সিদ্ধান্ত মানা হচ্ছে না। বিচারপতি কাউল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূ়ড়ের নেতৃত্বাধীন কলেজিয়ামের অংশ।
সরকারের বাধ্য-বাধকতা
প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, যদি কলেজিয়াম তাদের সিদ্ধান্ত একই রাখে তা হলে সরকার সেই সুপারিশ মেনে নিতে বাধ্য। কলেজিয়াম পদ্ধতিটি ১৯৯৩ ও ১৯৯৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের দুটি নির্দেশের মাধ্যমে এসেছে। বিচারপতিদের নিয়োগ এবং বদলির জন্য এই কলেজিয়াম তৈরি করা হয়েছিল। সাধারণভাবে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি অন্যদুই সিনিয়র সহকর্মীর সঙ্গে পরামর্শ করে এব্যাপারে সুপারিশ পাঠিয়ে থাকেন। কলেজিয়ামের সুপারিশে আপত্তি থাকলে তা পুনর্বিবেচনার জন্য ফেরত পাঠানো যায়। তবে পুনর্বিবেচনার পরে যদি কলেজিয়ার সেই সুপারিশের পুনরাবৃত্তি করে তাহলে সরকার এই নিয়োগে বাধ্য। পরবর্তী সময়ে মামলায় কলেজিয়ামে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে চার সিনিয়র বিচারপতির থাকার কথা বলা হয়। এছাড়াও যে হাইকোর্টের বিচারপতি নিয়োগের কথা কলেজিয়ামের সুপারিশের আগে সেই হাইকোর্টের সঙ্গে কথা বলে নেন কলেজিয়ামের সদস্যরা।
Gujarat Election 2022: গুজরাতে কেমন হবে আপের ফলাফল, ভবিষ্যদ্বাণী অমিত শাহের