ভারতের প্রথম ৯জন ধনীর হাতে অর্ধেক জনসংখ্যার সম্পদ! দিন-দিন পকেট খালি দরিদ্রদের
ভারতে বাড়ছে আয় বৈষম্য। আর সেই রিপোর্টই প্রকাশিত হয়েছে অক্সফাম ইনইক্যুয়ালিটি রিপোর্ট ২০১৯-এ।
ভারতে বাড়ছে আয় বৈষম্য। আর সেই রিপোর্টই প্রকাশিত হয়েছে অক্সফাম ইনইক্যুয়ালিটি রিপোর্ট ২০১৯-এ। সেখানে ভারতের জনগণের আর্থিক বৈষম্য নিয়ে ভয়ঙ্কর রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। আরও বেশি করে টাকা বিত্তবানদের হাতে চলে যাচ্ছে। দরিদ্রদের সঙ্গে দূরত্ব আরও বেড়ে যাচ্ছে। যার ফলে আর্থিক স্বাধীনতা বা গণতন্ত্রও একজন সাধারণ মানুষের খর্ব হচ্ছে।
বিশ্ব জুড়ে ট্রেন্ড
তবে এটা শুরু ভারতে নয়, সারা বিশ্বেই এই ট্রেন্ড চলছে। বিশ্বের দরিদ্রতম ৩৮০ কোটি মানুষের সম্পদের পরিমাণ ১১ শতাংশ কমে গিয়েছে। এদিকে ২০১৭-১৮ সালে প্রতি ২ দিনে একজন করে বিলিওনেয়ার তৈরি হয়েছেন বিশ্ব জুড়ে।
কমছে দরিদ্রদের সম্পদ
২০১৮ সালে ভারতে বিত্তবানদের শীর্ষ ১ শতাংশের সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ৩৯ শতাংশ হারে। আর নিম্নে পড়ে থাকা ৫০ শতাংশ মানুষের সম্পদ বেড়েছে মাত্র ৩ শতাংশ হারে।
বিত্তবানদের হাতে কুক্ষীগত সম্পদ
গতবছরে বিশ্বের মাত্র ৪৬ জন মানুষের হাতে ছিল দরিদ্রতম ৫০ শতাংশের মোট সম্পদ। আর এবার সেই সংখ্যাটা কমে ২৬-এ চলে এসেছে। ২০১৮ সালের হিসাব বলছে, বিশ্বের নিচের দিকে অর্ধেক মানুষের হাতে যে সম্পদ রয়েছে তা কুক্ষীগত করে রেখেছেন মাত্র ২৬ জন।
মেয়েরা বঞ্চিত বেশি
এর মধ্যে আবার সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত হচ্ছে মেয়েরা। রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট বলছে, বিশ্বজুড়ে মহিলারা পুরুষের চেয়ে ২৩ শতাংশ কম বেতন পান। ভারতে সেটা আরও বেশি। এখানে মহিলারা পুরুষদের চেয়ে ৩৪ শতাংশ কম বেতন পান। সবমিলিয়ে পুরুষদের চেয়ে মহিলাদের সম্পদ ৫০ শতাংশ কম।
এগোচ্ছে ভারত
নতুন বছরে ভারতে আরও ১৮জন নতুন বিলিওনেয়ার বেড়েছেন। সবমিলিয়ে ভারতে এখন বিলিওনেয়ারের সংখ্যা ১১৯ জন। তাদের সম্মিলিত সম্পদ ভারতের কেন্দ্রীয় বাজেটের চেয়েও বেশি।
বাড়ছে স্কুল ছুট
ভারতে সরকারি স্কুলে স্কুলছুটের সংখ্যা বাড়ছে। বেসরকারি স্কুলে ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। এমনকী বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রতিও মানুষের ঝোঁক বাড়ছে। সরকারি পরিষেবাকে অগ্রাহ্য করে মানুষ বেসরকারি পরিষেবা টাকা দিয়ে নিতেই পছন্দ করছেন বা বাধ্য হচ্ছেন।