পরিবারের মোহ ছাড়ুন! সনিয়া গান্ধীকে বিস্ফোরক চিঠি ৯ কংগ্রেস প্রভাবশালী নেতার
কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকে নিশানা করে চিঠি লিখলেন উত্তর প্রদেশের ৯ নেতা। যদিও এইসব নেতাকে আগেই বহিষ্কার করেছে দল। সনিয়া গান্ধীকে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, পরিবারের মোহ ছাড়ুন। দলে গণতন্ত্র ফিরিয়ে
কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকে নিশানা করে চিঠি লিখলেন উত্তর প্রদেশের ৯ নেতা। যদিও এইসব নেতাকে আগেই বহিষ্কার করেছে দল। সনিয়া গান্ধীকে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, পরিবারের মোহ ছাড়ুন। দলে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনুন। দলে গণতান্ত্রকি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করার ডাকও তাঁরা দিয়েছেন।
দিনে
নারী,
রাতে
মদ!
বিজেপির
জেলা
সভাপতির
বিরুদ্ধে
অভিযোগে
বিক্ষোভ
সাংসদের
বাড়ির
সামনে
সনিয়াকে আগে চিঠি দিয়েছিলেন ২৩ সিনিয়র কংগ্রেস নেতা
কংগ্রেসে সংস্কার এবং পূর্ণ সময়ের সভাপতি চাওয়ার কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় বেশ কয়েকজন নেতাকে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে অপমান করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এরপর কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেছিলেন আনন্দ শর্মা, কপিল সিবাল, গোলাম নবি আজাররা বলেছিলেন, বর্তমান পদক্ষেপে কংগ্রেস কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করা যাচ্ছে না।
এবার চিঠি উত্তর প্রদেশের কংগ্রেস নেতাদের
২ সেপ্টেম্বর এই চিঠি দেওয়া হয়েছে সনিয়া গান্ধীকে। নয় কংগ্রেস নেতার মধ্যে রয়েছেন, সাংসদ সন্তোষ সিং, প্রাক্তন মন্ত্রী সত্যদেব ত্রিপাঠী। চিঠিতে তাঁরা বলেছেন, জওগরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধীরা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ গিয়ে কংগ্রেস এবং দেশকে তৈরি করেছিলেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে নানা প্রশ্ন চিহ্ন তৈরি হয়েছে। ফলে কংগ্রেস কর্মীরা হতাশায় ভুগছেন। এঁদের মধ্যে সিং এবং ত্রিপাঠীকে গত বছরে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
পরিবারের মোহ ছাড়তে অনুরোধ
৪ পাতার চিঠিতে সনিয়া গান্ধীকে বলা হয়েছে পরিবারের মোহ ছাড়ুন। দলে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার ডাকও দেওয়া হয়েছে চিঠিতে। সেখানে আরও বলা হয়েছে, যদি তিনি(সনিয়া) দায়িত্ব এড়িয়ে যান, তাহলে দেশের রাজনীতিতে ইতিহাস হয়ে যাবে কংগ্রেস। বর্তমান পরিস্থিতিতে কংগ্রেস সিদ্ধান্তহীনতার সঙ্গে অস্তিত্ব হীনতায় ভুগছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা। দলে বাকস্বাধীনতা এবং পারস্পরিক আস্থা ফেরানোর ডাক দেওয়া হয়েছে।
নিশানায় প্রিয়ঙ্কা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন চিঠিটি সনিয়া গান্ধীকে উদ্দেশ্য করে লেখা হলেও, নিশানা করা হয়েছে উত্তর প্রদেশ কংগ্রেসের প্রধান প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে।