১লা ডিসেম্বর থেকেই ফের নৈশ কার্ফু জারি পাঞ্জাবে! বিধি লঙ্ঘনে দ্বিগুণ এবার জরিমানার সিদ্ধান্ত
সবে প্রত্যহ আক্রান্তের সংখ্যায় একটু ভাটা চোখে পড়েছে ভারতে, আর এরই মাঝে নতুন দুঃসংবাদ শোনাতে একাধিক রাজ্যে ধেয়ে আসছে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ। দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণের জেরে ইতিমধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে। এমতাবস্থায় পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বুধবার ফের নতুন সিদ্ধান্ত নিল পাঞ্জাব সরকার। আরোপ করা হল বেশ কিছু নতুন বিধিনিষেধও। পাশপাশি মাস্ক না পরা এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় না রাখলে জরিমানার পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ করা হচ্ছে বলেও খবর।


পয়লা ডিসেম্বর থেকেই গোটা নৈশ কার্ফু
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমৃন্দর সিং জানিয়েছেন, আগামী ১লা ডিসেম্বর থেকে রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে রাজ্যের সমস্ত শহর ও মফস্বল এলাকা। সমস্ত হোটেল, রেস্তোরাঁগুলি রাত ৯.৩০টা পর্যন্ত খোলা রাখার অনুমতি মিললেও বিধিলঙ্ঘনে বেড়েছে জরিমানাও। মাস্ক না পরে বা শারীরিক দূরত্ব বজায় না রাখলে জরিমানা হবে প্রায় ১০০০ টাকা! ১৫ই ডিসেম্বর পর্যন্ত গোটা অবস্থা খতিয়ে দেখেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে রাজ্য, এমনটাই জানিয়েছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী।

পাঞ্জাবে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৬,৮৩৪ জন
এদিকে বর্তমানে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেব বলছে, পাঞ্জাবে এখনও পর্যন্ত কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ১,৪৭,৬৬৫ জন। তার মধ্যে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৬,৮৩৪ এবং মৃত ৪,৬৫৩ জন। পাশাপাশি সেরে উঠেছেন প্রায় ১,৩৬,০০০ জন। মঙ্গলবার নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬১৪ জন, মারা গেছেন ২২ জন। পাঞ্জাবে সর্বোচ্চ আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে লুধিয়ানাতেই। যদিও আশার কথা এই যে, পাঞ্জাব সরকারের তৎপরতায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩৫ লক্ষ নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।

করোনার কবলে পড়েছেন খোদ পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ?
মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে একটি বৈঠকের ডাক দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শারীরিক অসুস্থতার জন্য আলাপচারিতায় যোগ দিতে পারেননি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, ক্যাপ্টেন অমৃন্দর সিংয়ের করোনা পরীক্ষা করা হলে ফলাফল নেগেটিভ আসে। স্বভাবতই হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন মুখ্যমন্ত্রীর সভাসদ ও পরিবারবর্গরা।

একনজরে ভারতের বর্তমান করোনা পরিসংখ্যান
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেবে, ভারতে গত একদিনে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৪৪,৩৭৬ জন। ফলে ভারতে সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯২.২ লক্ষে। সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে ৫ লক্ষের নীচে। পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত সেরে উঠেছেন প্রায় ৮৬ লক্ষ ভারতীয়। সহজ কথায় আক্রান্ত হলেও বর্তমানে দেশব্যাপী কোভিড থেকে সেরে উঠেছেন প্রায় ৯৩.৭২% মানুষ। কিন্তু তারমাঝেও একাধিক রাজ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ের করোনা সংক্রমণ ঘিরেই বাড়ছে উদ্বেগ।
১০০ শতাংশ সফল! করোনা 'সুপার ভ্যাকসিন' বাজারে আনছে চিন