১৬০০০পয়েন্ট ছাড়িয়ে দৌড়চ্ছে নিফটি, নতুন শিখরে শেয়ারবাজারও
১৬০০০পয়েন্ট ছাড়িয়ে দৌড়চ্ছে নিফটি, নতুন শিখরে শেয়ারবাজারও
সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে দালাল স্ট্রিটে খুশির হাওয়া। নিফটি এবং শেয়ার বাজার দুয়ের সূচকই হু হু করে চড়েছে।১৬,০০০ পয়েন্ট পার করে নিফটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে। বাজার খুলতেই লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছিলেন শেয়ার বাজারের কারবারিরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসা আরও চাঙ্গা হয়ে ওঠে। শেয়ার বাজারও আজ নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। ধীরে ধীরে চাঙ্গা হয়ে উঠছে দেশের অর্থনীতি। করোনা খরা কাটিয়ে উঠছে দেশ। করোনার সঙ্গে মোকাবিলা করেই বাণিজ্যে লক্ষ্ণী ঘরে আনছেন সকলে। শেয়ারের উর্ধ্বগতিতে লাভবান হয়েছে আইটি কোম্পানিগুলি। একই সঙ্গে ফার্মা কোম্পানিগুলিও লাভের মুখ দেখেছে। গত কয়েকদিন
রেকর্ড উচ্চতায় নিফটি
মঙ্গলবার বাজার খুলতেই খুশির হাওয়া। একেবারে চড় চড় করে চড়েছে নিফটি। ১৬,০০০ পয়েন্ট ছাড়িয়ে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছিল নিফটি। যা এযাবত হয়নি বললেই চলে। দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ নিফটি ১৬,০০০ মার্ক ছাড়িয়ে গিয়েছিল। যা এই প্রথম বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। নিফটির এই দৌড় জারি কতদিন জারি থাকবে সেটাই এখন দেখার। দুপুর ১টার মধ্যে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছিল নিফটি। একের পর এক বিনিয়োগ কারী লাভের মুখ দেখেছেন আজ।
চাঙ্গা শেয়ারবাজারও
শুধু নিফটি নয় আজ শেয়ারবাজারের হাওয়ার বেশ ভাল। সকাল থেকে বেশ ভালই চড়ছিল শেয়ারের দাম। বেলা সাড়ে বারোটা বাজতেই হু হু করে চড়তে শুরু করে বাজার। ৪৪২ পয়েন্ট পার করে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছিল শেয়ারবাজার। আজ সবচেয়ে বেশি লাভের মুখ দেখেছে আইটি সংস্থা গুলি। এছাড়া অটো এবং ফার্মা কোম্পানির শেয়ারও ভাল দাম চড়েছে। আইটি কোম্পািন গুলির শেয়ার বাজারে ভাল বিনিয়োগ করেছে। নিফটিতেও লাভের মুখ দেখেছে আইটি কোম্পানিগুলি। গত এক বছরে করোনার কারণে এক প্রকার থমকে গিয়েছিল শেয়ার বাজার। দালাল স্ট্রিটে মন্দার হাওয়া বইছিল। গত জানুয়ারি মাসের পর থেকে ধীরে ধীরে চাঙ্গা হতে শুরু করে শেয়ার হাজার। কিন্তু সেটাও হয়েছে খুব ধীর গতিতে। শুধু ভারত নয় গোটা বিশ্বের শেয়ার বাজারেই মন্দার হাওয়া বইছিল।
ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে অর্থনীতি
করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে মানুষ। গোটা বিশ্বই এই মহামারীর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। প্রথমবাের ধাক্কায় যেমন দিশেহারা পরিস্থিতি হয়েছিল। সেটা অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা গিয়েছে। লকডাউন এখন আর গোটা দেশে হচ্ছে না ধাপে ধাপে রাজ্য ভিত্তিক হচ্ছে। যার ফলে থমকে যাচ্ছে না উৎপাদন। তার প্রভাব পড়েছে শেয়ার বাজারেও। গত এক সপ্তাহে শেয়ার বাজারের অবস্থা ভীষণই ভাল বলা চলে। এক সপ্তাহ আগেও মাঝামাঝি অবস্থানে চলছিল শেয়ার বাজার। জিএসটি সংগ্রহও বাড়তে শুরু হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে। গত এক বছরে যে বিপুল পরিমান জিএসটি ঘাটতি দেখা িদয়েছিল। সেটা অনেকটাই বেড়েছে। প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা জিএসটি সংগ্রহ বেড়েছে। প্রায় ৩৩ শতাংশ জিএসটি সংগ্রহ বেড়েছে কেন্দ্রের।
বাণিজ্যে স্থিতাবস্থা ফিরছে
করোনার কারণে থমকে যাওয়া বাণিজ্যে ধীরে ধীরে আবার প্রাণ পেতে শুরু করেছে। একাধিক উৎপাদন সংস্থা গত এক বছরে উৎপাদ প্রায় করতে পারেনি। এবার তারা করোনার সঙ্গে লড়াই করেই ধীরে ধীরে ফের ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে। ২০২১ সালের জুন মাস পর্যন্ত উৎপাদন ক্ষেত্রে ৮.৯ শতাংশ বেড়েছে। জুলাই মাসে উল্লেখ যোগ্য হারে বাণিজ্য বেড়েছে ভারতের। যদিও ভারতের িজডিপি বৃদ্ধি নিয়ে একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা একাধিক কথা বলতে শুরু করেছে। ভারতের আর্থিক মান অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে মুডিজ। করোনার সেকেন্ড ওয়েভের ধাক্কা অনেকটাই সামলে ওঠা গিয়েছে িকন্তু থার্ড ওয়েভ দরজায় কড়া নাড়ছে। তাতে নতুন করে শঙ্কার মেঘ দেখছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই কেরল,কর্নাটক, তামিলনাড়ুতে করোনা সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে। গবেষকরা দাবি করেেছন অগাস্টেই দেশে শুরু হয়ে যাবে করোনার থার্ড ওয়েভ। অক্টোবর মাসে সেটা চরমে উঠবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সেপ্টেম্বর অক্টোবর মাস থেকেই গোটা দেশে উৎসবের মরশুম শুরু হয়। সেসময় করোনা সংক্রমণ বাড়লে ফের বাণিজ্য ধাক্কা খাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ উৎসবের মরশুমেই বাণিজ্য নতুন করে চাঙ্গা হয়ে ওঠে।