জেএমবি জঙ্গিদের নজরে দক্ষিণ ভারত, বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে কর্ণাটক
ভারতে জাল বিস্তার করতে উদ্যত হয়েছে বাংলাদেশী জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিন। এমনই আশঙ্কার কথা জানাল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ।
ভারতে জাল বিস্তার করতে উদ্যত হয়েছে বাংলাদেশী জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিন। এমনই আশঙ্কার কথা জানাল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। এনআইএ জানাচ্ছে, ঝাড়খন্ড, বিহার, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক ও কেরলে নিজেদের কার্যকলাপ বাড়াচ্ছে জেএমবি। এই কার্যকলাপ চালাতে জেএমবি ভারতের মাটিতে আলাদা একটি শাখাও খুলেছে বলে জানাচ্ছেন তদন্তকারীরা । মূলত দিক্ষিণের রাজ্যগুলিতে নাশকতা ছড়ানোর লক্ষ্যেই এই শাখার পত্তন বলে উঠে এসেছে তদন্তে । এমন কী জেএমবি জঙ্গিরা রকেট লঞ্চারের পরীক্ষা চালিয়েছে বলেও জানা গেছে।
সন্ত্রাসবিরোধী বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে এক বৈঠক চলাকালীন এনআইএ-র ডিজি ওই সি মোদি জানান, তাঁদের নজরে এই মুহূর্তে ১২৫ জন সন্দেহভাজন রয়েছে । প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মোদি জানান, নাশকতামূলক কাজের পরিকল্পনা করতে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের কাজে লাগাচ্ছে জেএমবি। সন্দেভাজনদের তালিকা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের পুলিশকে দেওয়া হয়েছএ বলেও জানিয়েছেন এনআইএ-র ডিজি।
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এনআইএ-র ইন্সপেক্টর জেনারেল অলোক মিত্তল জানান, শুধুমাত্র বেঙ্গালুরুতেই ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত অন্তত ২০ থেকে ২২টি হাইডআউট গড়ে তুলেছে জেএমবি। সেই হাইডআউট থেকেই কর্নাটক রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকার কৃষ্ণগিরি পাহারে রকেট লঞ্চারের পরীক্ষা চালায় জঙ্গিরা। তদন্তে উঠএ এসেছে, রকেট ব্যবহার করে একটি বৌদ্ধ মন্দির উড়িয়ে দেওয়ার ছকও কষেছিল জঙ্গিরা।
এদিকে এই খবর প্রকাশ পেতেই অবৈধ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলে বেঙ্গালুরুর পুলিশ প্রধানকে চিঠি লেখেন শহরের মেয়র এম গোতম কুমার।
চিদাম্বরমকে গ্রেফতার করতে চেয়ে আদালতে ইডি