পুলওয়ামার ঘটনায় ইমরান সরকার,পাক গুপ্তচররা সরাসরি জড়িত! তথ্যপ্রমাণ পাকিস্তানকে কোন বিপদে ফেলতে পারে
২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। রক্তাক্ত সেদিনের দুপুর গোটা দেশকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তখন ৪০ টি শহিদ পরিবারের কাছে শুধুই দুঃসংবাদ যাচ্ছে কাশ্মীর থেকে। মুহূর্তে তদন্তে নামে এনআইএ। ১০০ ঘণ্টার মধ্যে মূল চক্রাক্তকারীদের নিকেশ করা হয়। এদিকে, আত্মঘাতী হামলায় ততক্ষণে মৃত হামলাকারী জঙ্গি আদিল দার। এই হামলাকারী জঙ্গিকে নিয়েই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আনছে এনআইএ।
পুলওয়ামার রক্তক্ষয়ী হামলা ও পাকিস্তান
পুলওয়ামার ঘটনায় এনআইএ খুব শিগগিরিই চার্জশিট পেশ করতে চলেছে। আর তাতেই দেখা গিয়েছে, পাকিস্তানে বসে গোটা ঘটনার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করেছিল পাকিস্তানি গুপ্তচরবাহিনী আইএসআই। গোটা আক্রমণটাই পাকিস্তানের তরফেই মূলত ছিল, জঙ্গি সংগঠনকে কেবল পাকিস্তান হাতিয়ার করেছিল পুলওয়ামার ঘটনায়।
ইমরান সরকার পুলওয়ামার বিষয়ে জানত আগেই!
বহু নথি ও তথ্য় প্রমাণ বলছে, ইমরান সরকার আগে থেকেই জানত যে কাশ্মীরের বুকে পুলওয়ামায় এমন হামলা হবে। গোটা ঘটনার ব্লু প্রিন্টের সঙ্গে ইমরান খানের সরকার জড়িত বলেও দাবি করা হয়। পাকিস্তানের সরকার বিষয়টি নিয়ে চিরাচরিত মিথ্যা কথা ভারতকে বললেও, পাকিস্তান ভারতে নাশকতার ছক কষতেই জঙ্গি সংগঠনগুলিকে ব্যবহার করেছিল।
৭ জনকে ভারতে পাঠিয়েছিল পাকিস্তান
পুলওয়ামার জঙ্গি হামলা বাস্তবায়িত করতে জইশের ৭ দাগী জঙ্গিকে ভারতে পাঠিয়েছিল পাকিস্তান। তাদের মধ্যে বহু জনকে নিরাপত্তাবাহিনী নিকেশ করে দেয়। ঘটনার মূলচক্রী মৌলানা মাসুদ এখনও বহাল তবিয়তে পাকিস্তানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ফলে তার বিরুদ্ধেও ইমরান সরকার যে কোনও ব্যবস্থা নিতে চাইছে তা নয়।
পুলওয়ামার নথি ইমরানকে কেন বিপদে ফেলতে পারে?
উল্লেখ্য, পুলওয়ামার এআইএ তদন্ত রিপোর্টে ইমরান সরকারের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের সরাসরি যোগের প্রমাণ মিলেছে। ফলে FATF এর যে তালিকায় পাকিস্তান আপাতত ধূসর অংশে রয়েছে, সেই তালিকায় আরও চাপে পড়ে যেতে পারে ইসলামাবাদ। কারণ FATF সন্ত্রাসে মদতের দায়ে পাকিস্তানকে ধূসর তালিকায় রেখেছিল। তাতে বহু আর্থিক সুবিধা থেকে পাকিস্তান বঞ্চিত। এরপর পুলওয়ামার ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট পেশ হলে ইমরান সরকার আরও চাপে পড়তে পারে।
চিন-পাকিস্তানের যৌথ আস্ফালন ভারতের অদূরের জলপথে! সমুদ্রবক্ষে ভারতের শত্রুদেশগুলি কী ঘটাচ্ছে