পুলওয়ামা হামলায় ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ, এনআইএ-র হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য
পুলওয়ামা হামলায় চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছে এনআইএ। তাদের দাবি এইসব বিস্ফোরক হামলাকারীরা পেয়েছিল অনলাইন ডেলিভারি পোর্টাল থেকে।
পুলওয়ামা হামলায় গতবছর ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল। সেই বিস্ফোরণে ব্যবহার করা হয়েছিল অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, নাইট্রোগ্লিসারিন, আরডিএক্স। এব্যাপারে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছে এনআইএ। তাদের দাবি এইসব বিস্ফোরক হামলাকারীরা পেয়েছিল অনলাইন ডেলিভারি পোর্টাল থেকে।
গ্রেফতার জৈশ জঙ্গি
জৈশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি সাকির বসির মাগ্রে নামে এক যুবককে এনআইএ পুলওয়ামা থেকে গ্রেফতারের পর তাকে হেফাজতে নেয় এনআইএ। এরপরেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চাঞ্চল্যকর তথ্য মেলে বলে দাবি করেছে এনআইএ।
জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য
তদন্তকারী সংস্থার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সাকির বসির মাগ্রের বয়স ২২ বছর। সে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে, ব্যাটারি, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট তারা পেয়েছিল অনলাইন পোর্টালে অর্ডার করে। জিজ্ঞাসাবাদে ওি জঙ্গি জানিয়েছে, বিস্ফোরক বোঝাই মারুতি গাড়িটি সে চালিয়ে বিস্ফোরকস্থল থেকে ৫০০ মিটার দূরে রেখে এসেছিল। এরপর আদিল আহমেদ দার নামে ইফর একজন বাকি রাস্তাটুকু নিয়ে যায় এবং সিআরপিএফ-এর কনভয়ে আঘাত হানে। আদিল আহমেদ দার এক্ষেত্রে আত্মঘাতী জঙ্গির কাজ করেছে।
লাথপোরা ব্রিজের কাছেই ছিল মাগ্রের আসবারের দোকান। সেখান থেকেই সে জানুয়ারি ২০১৯-এ জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কে সিআরপিএফ-এর কনভয়ে নজরদারি চালাত।
বাড়িতেই রেখেছিল অভিযুক্তদের
এনআরএ-র তরফে আরও জানানো হয়েছে, সাকির বসির মাগ্রে আদিল আহমেদ দার এবং পাকিস্তানি জঙ্গি মহম্মদ ওমর ফারুককে ২০১৮-র শেষ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত নিজের বাড়িতেই আশ্রয় দিয়েছিল এবং আইইডি তৈরিতে সাহায্য করেছিল।
এনআইএ-র দাবি
এনআইএ দাবি করেছে, দার এবং মাগ্রের সঙ্গে পাকিস্তানি জঙ্গি মহম্মদ ওমল ফারুক এবং আইইডি জঙ্গি কামরান পুলওয়ামা হামলায় জড়িত। মার্চ ২০১৯-এ দুজন সংঘর্ষে মারা যায়। সূত্রের খবর অনুযায়ী কামরানের মৃত্যুর পর তার কাছ থেকে পাওয়া মোবাইল ফোন এনআইএ-র কাছে বড় সূত্র হয়ে ওঠে।