রায়দানের পরেই পদত্যাগ বিচারকের! বিতর্ক মক্কা মসজিদের রায়দান নিয়ে
পদত্যাগ করলেন মক্কা মসজিদ নিয়ে রায়দানকারী বিশেষ এনআইএ বিচারক কে রবিন্দর রেড্ডি। সোমবার ১১ বছরের পুরনো মক্কা মসজিদ বিস্ফোরণ মামলার রায় দেন তিনি।
পদত্যাগ করলেন মক্কা মসজিদ নিয়ে রায়দানকারী বিশেষ এনআইএ বিচারক কে রবিন্দর রেড্ডি। সোমবার ১১ বছরের পুরনো মক্কা মসজিদ বিস্ফোরণ মামলার রায় দেন তিনি। মামলায় উপযুক্ত প্রমাণ না থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত স্বামী অসীমানন্দ-সহ বাকিদের মুক্ত করে দেন। রায় দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিনিয়র বিচারক জানিয়েছেন, মক্কা মসজিদ রায়দানের সঙ্গে তাঁর পদত্যাগের কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন বিচারক কে রবিন্দর রেড্ডি।
বিচারক কে রবিন্দর রেড্ডি তাঁর পদত্যাপত্র মেট্রোপলিটান সেশন জাজের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। পদত্যাগপত্রে ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করেছেন তিনি। পদত্যাগের সঙ্গে এদিনে রায়দানের কোনও সম্পর্ক নেই বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন সিনিয়র জুডিশিয়াল অফিসার।
যদিও এই ইস্তফা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন-এর সভাপতি আসাউদ্দিন ওয়াইসি। টুইট করে তিনি বলেছেন, যে বিচারক মক্কা মসজিদের বিস্ফোরণের সব অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস করেছেন, তাঁর ইস্তফা কূচুটেপূর্ণ। এই ইস্তফার সিদ্ধান্তে তিনি অবাক বলেও জানিয়েছেন ওয়াইসি।
Judge who gave acquittal to all accused in Mecca Masjid Blast RESIGNS very intriguing and I am surprised with the Lordship decision
— Asaduddin Owaisi (@asadowaisi) April 16, 2018
বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযুক্তরা সবাই অভিনব ভারত-এর সদস্য। ১০ সদস্যের মধ্যে রয়েছেন স্বামী অসীমানন্দ ওরফে নবকুমার সরকার, দেবেন্দ্র গুপ্ত, লোকেশ শর্মা ওরফে অজয় তিওয়ারি, লক্ষ্মণ দাস মহারাজ, মোহনলাল রন্তেশ্বর, রাজিন্দর চৌধুরীকে এই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছিল। দুই অভিযুক্ত রামচন্দ্র কালসাংগ্রা এবং সন্দীপ ডাঙ্গা এখনও নিখোঁজ। মামলার তদন্ত চলার সময় অপর এক অভিযুক্ত তথা আরএসএস-এর পদাধিকারী সুনীল যোশী গুলিতে মারা যান।
২০০৭ সালের ১৮ মে হায়দরাবাদের ঐতিহাসিক মক্কা মসজিদে পাইপ বোমা বিস্ফোরণে আট জনের মৃত্যু হয়। ঘটনায় ৫৮ জন আহত হয়েছিলেন। এরপর গোষ্ঠী সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল।
প্রথমে ঘটনার তদন্ত করেছিল স্থানীয় পুলিশ। এরপর ঘটনার তদন্তভার যায় সিবিআই-এর হাতে। যারা চার্জশিটও দাখিল করেছিল। এরপর ঘটনার তদন্তভার ২০১১-তে দেওয়া হয় এনআইএ-র হাতে।
এই মামলায় সব মিলিয়ে ২২৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে এবং ৪১১ টি নথি পেশ করা হয় আদালতে।
স্বামী অসীমানন্দ ও মোহনলাল রত্নেশ্বর জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন আগেই। বাকি তিনজন বিচার বিভাগীয় হেফাজতে ছিলেন।