ফের বিক্ষোভের হুমকি! রাজ্যে নির্বিঘ্নে ভোট করাতে সতর্ক কমিশন
নির্বাচন কমিশনের তরফে মিজোরামের মুখ্যনির্বাচন আধিকারিককে দিল্লিতে ডেকে পাঠানোর পর কমিশন বিরোধী বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হল।দুদিন ধরে মিজোরামের সিইও এসবি শশাঙ্ককে নিয়ে বিক্ষোভ চলছিল উত্তর পূর্বের রাজ্য
নির্বাচন কমিশনের তরফে মিজোরামের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিককে দিল্লিতে ডেকে পাঠানোর পর কমিশন বিরোধী বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হল। দুদিন ধরে মিজোরামের সিইও এসবি শশাঙ্ককে নিয়ে বিক্ষোভ চলছিল উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের পরেই এই বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়।
নির্বাচন কমিশনের আধিকারিক পবন দিওয়ান জানিয়েছেন, মিজোরাম এনজিও কোঅর্ডিনেশন কমিটির আবেদন গ্রহণ করেছে এবং ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার সুদীপ জৈনকে রাজ্যে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি রাজ্যে এসে ৯ নভেম্বর উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করবেন।
মিজোরামের বাসিন্দা, ঝাড়খণ্ডের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক লালবিয়াক্তলুঙ্গা খিয়াংতে এই বৈঠকে থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।
মিজোরামের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক শশাঙ্ককে দিল্লিতে ডেকে পাঠানোর ঘটনা একটা উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। তারা কমিশনের পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য অপেক্ষা করবেন। যদি শশাঙ্ককে ফের মিজোরামে পাঠানো হয়, তাহলে ফের বিক্ষোভ শুরু করা হবে। হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এনজিও কোঅর্ডিনেশন কমিটির চেয়ারপার্সন ভ্যানলালরুয়াটা।
মঙ্গলবার থেকে আইজনের রাস্তায় বহু সংখ্যক বিক্ষোভকারী রাস্তায় নামেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক শশাঙ্কের অপসারণ দাবি করে। একইসঙ্গে স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রধান সচিব লালনুনমাইয়া চুঙ্গোকে সেই পদে বসানোর দাবি করা হয়।
সূত্রের খবর অনুযায়ী শশাঙ্ক কমিশনে অভিযোগ করেছিলেন চুঙ্গো নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করছেন। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় প্রচুর সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন বলে অভিযোগ করেছিলেন শশাঙ্ক। এছাড়াও ত্রিপুরার শরণার্থী শিবিরে থাকা ১১ হাজার ব্রু ভোটারকে অন্তর্ভুক্তিরও বিরোধিতা করেন বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, এর পরেই মিজো অফিসার চুঙ্গোকে দিল্লি থেকে ডেকে পাঠানো হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকেও কথা বলতে বলা হয় তাঁকে।
তবে এরপরেই ঝাঁপিয়ে পড়ে মিজোরামের বিভিন্ন সংগঠন। চুঙ্গোকে মিজো হিরো বলে বর্ণনা করে, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক শশাঙ্ককে ব্রু সমব্যথী বলে উল্লেখ করা হয়। জাতি দাঙ্গার জেরে ১৯৯৭ সালে মিজোরাম ছেড়েছিলেন ব্রু শরণার্থীরা। সেই থেকে ত্রিপুরায় ছটি শিবিরেই রয়েছেন তাঁরা। তাঁদেরকে মিজোরামে পাঠাতে বারবার চেষ্টা করা হলেও, তা ব্যর্থ হয়েছে। অন্যদিকে ব্রু শরণার্থীরাও উন্নত পুনর্বাসন প্যাকেজের দাবি করেছে। এইসঙ্গে মিজোরামে ফিরে যেতে নিরাপত্তারও দাবি করেছে।