পরবর্তী সংক্রমণ যেন দৈনিক ৫০ হাজার না পেরোয়, সরকারকে সতর্ক কোভিড ক্ষমতায়ন গোষ্ঠীর
পরবর্তী সংক্রমণ যেন দৈনিক ৫০ হাজার না পেরোয়, সরকারকে সতর্ক কোভিড ক্ষমতায়ন গোষ্ঠীর
তৃতীয় করোনা ওয়েভের তীব্রতায় দৈনিক ৪–৫ লক্ষ কোভিড কেসের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে সরকারকে, এরকমটাই জানিয়েছেন কোভিড ক্ষমতায়িত গোষ্ঠীর আধিকারিকরা। দেশের কোভিড–১৯–এর জরুরি কৌশল গঠনের দায়িত্বে থাকা অধিকর্তারা এও জানিয়েছেন যে তবে দৈনিক করোনা কেস যাতে কোনওভাবে ৫০ হাজার অতিক্রম করতে না পারে সেদিকে পদক্ষেপ করতে হবে।
৫০ হাজার অতিক্রান্ত নয়
সূত্রের খবর, এটি তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এই নির্দেশিকা কার্যকরভাবে সামগ্রিক ব্যবস্থাকে সজাগ করার জন্য একটি নতুন মানদণ্ড স্থাপন করবে। প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় করোনার মারাত্মক তীব্রতা থেকেই সরকারকে শিক্ষা নিতে হবে বলেই জানিয়েছে এই ক্ষমতায়ন গোষ্ঠী। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, টিকাকরণ যত এগোবে, করোনা মহামারির স্তর দৈনিক ৫০ হাজারের গণ্ডিতেই থাকা উচিত। কারণ টিকাকরণের সঙ্গে সঙ্গে মাস্ক পরা এবং দুরত্ব বজায়ের পাশাপাশি লকডাউন কার্যকর করার কোভিড যথাযথ আচরণের মধ্যে পড়ে এবং এগুলি সব বজায় থাকলে তবেই করোনা কেস ৫০ হাজার ছাড়াতে পারবে না।
এখন করোনা কেস ৫০ হাজারের নীচে
দ্বিতীয় করোনা ভাইরাসের ওয়েভ যখন কমতে দেখা গিয়েছিল, ২৫ জুন থেকে দৈনিক জাতীয় করোনা কেস ৫০ হাজারের নীচে চলে গিয়েছিল। শনিবারই ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা কেস রিপোর্ট হয়েছে ৩৯,০৯৭। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে এই ৫০ হাজারের স্তরটি স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে ভেঙে দিতে পারবে না। তবে ক্ষমতায়িত গোষ্ঠী-১, যার নেতৃত্বে রয়েছেন নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পাল, তিনি পরবর্তী ৪-৫ লক্ষ সংক্রমণের শিখরকে সামনে রেখে সুপারিশ করেছেন যে ১.২ লক্ষ ভেন্টিলেটেড আইসিইউ বেড সহ ২ লক্ষ আইসিইউ বেডের প্রয়োজন রয়েছে, ৫ লক্ষ অক্সিজেন সাপোর্ট বেড ও ১০ লক্ষ কোভিড আইসোলেশন কেয়ার বেডের দরকার এ বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে।
স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে চাঙ্গা করে তুলতে হবে
সূত্রের খবর, এর অর্থ হল অতিরিক্ত ৮০ হাজার আইসিইউ বেড এবং প্রায় ১ লক্ষ অক্সিজেন সহ নন-আইসিইউ বেডের প্রয়োজন রয়েছে বর্তমান উপলব্ধতার সঙ্গে। সূত্রের খবর এটাও যে দৈনিক ২.৭ লক্ষ করোনা কেসের জন্য বর্তমানে যা আইসিইউ বেড রয়েছে তা পর্যাপ্ত। কোভিড গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে সরকারকে এও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যে করোনার তৃতীয় ওয়েভ শিশুদেরও ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে তাই ৫ শতাংশ আইসিইউ ও ৪ শতাংশ অক্সিজেন নন-আইসিইউ বেড পেডিয়াট্রিক কেয়ারের জন্য যেন রেখে দেওয়া হয়।
প্রস্তুত থাকতে হবে সরকারকে
কোভিড জনগোষ্ঠীর রিপোর্টে বলা হয়েছে, 'পরবর্তী ওয়েভ যদি দৈনিক ৪-৫ লক্ষ করোনা কেস শিখরে পৌঁছায়, এর অর্থ প্রতি দশ লক্ষে দৈনিক ৩০০-৩৭০টি কেস সনাক্ত হবে, যদি স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর এর সঙ্গে মোকাবিলা করার মতো প্রস্তুতি এখন থেকে না নেয় তবে দেশের কাছে তা অগ্রহণযোগ্য চাপ ও অত্যাধিক ব্যয় নিয়ে আসবে।' কোভিড গোষ্ঠীর মতে তাই দৈনিক নতুন করোনা কেস ৫০ হাজারের লক্ষ্য থেকে যেন কোনওভাবেই বিচ্যুত না হয়, তা দেখার দায়িত্ব সরকারের।
২০ শতাংশ বেড শিশুদের জন্য
পরবর্তী করোনার ওয়েভের চ্যালেঞ্জ সামলানোর জন্য ২ লক্ষ আইসিইউ বেডের প্রয়োজন। যার মধ্যে উত্তরপ্রদেশের জন্য ৩৩ হাজার, এরপর মহারাষ্ট্রের জন্য ১৭,৮৬৫, বিহার ১৭,৪৮০, পশ্চিমবঙ্গ ১৪,১৭৩ ও মধ্যপ্রদেশের জন্য ১২,০২৬টি বেডের প্রয়োজন। ঘটনাচক্রে, গত ৮ জুলাই কেন্দ্র ২০২১-২২ সালে আর্থিক বছরের ২০ হাজার আইসিইউ বেডের জন্য ২৩,১২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এর মধ্যে ২০ শতাংশ বেড শিশুদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।