টানা ষষ্ঠবারের জন্য ত্রিপুরায় ফের কি ক্ষমতায় বামফ্রন্ট, কী বলছেন সমীক্ষকরা
ভোটের দামামা বেজে গেল ত্রিপুরায়। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি সেখানে নির্বাচন। ভোট গণনা ৩ মার্চ।
ভোটের দামামা বেজে গেল ত্রিপুরায়। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি সেখানকার ৬০টি আসনে নির্বাচন। ভোট গণনা ৩ মার্চ।
[আরও পড়ুন:কংগ্রেস না বিজেপি, কারা পাবে মেঘালয়! এরাজ্যের বিধানসভা ভোট নিয়ে জানুন একনজরে ]
১৯৯২ থেকে টানা ২৫ বছর ত্রিপুরায় ক্ষমতায় রয়েছে সিপিএম তথা বামফ্রন্ট। আর টানা উনিশ বছর মুখ্যমন্ত্রীর আসনে রয়েছেন মানিক সরকার। মানিক সরকার মুখ্যমন্ত্রীর আাসনে বসেন ১৯৯৮-এর ১১ মার্চ। ২০১৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেন তিনি।
৫ জানুয়ারি ত্রিপুরার চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়। তালিকা প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক শ্রীরাম তরণীকান্ত। চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পেয়েছে, ২৫ লক্ষ ৬৯ হাজার ২১৬ জনের নাম। এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১৩ লক্ষ ৩ হাজার ৪২০ এবং মহিলা ভোটারের সংখ্যা ১২ লক্ষ ৬৫ হাজার ৭৮৫। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১১ জন। চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় ভোটারের সংখ্যা বেড়েছে ২.৫২ শতাংশ। রাজ্যের ভোটারদের ১০০ শতাংশের সচিত্র পরিচয়পত্র রয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ত্রিপুরায় এবারের মূল লড়াই সিপিএম নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্টের সঙ্গে বিজেপির। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানকার প্রায় প্রত্যেকটি আসনেই প্রার্থী দিচ্ছে তারা। প্রায় সব আসনে প্রার্থী দিতে চলেছে কংগ্রেসও। সেক্ষেত্রে চতুর্মুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে চলেছে সেখানে। টানা ২৫ বছরের বাম শাসন আর ১৯ বছরের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে হারাতে যে সংগঠনের প্রয়োজন তা বিজেপির নেই বললেই চলে। তবে বিজেপি সেখানে একটা ধাক্কা দেবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সমীক্ষকদের অধিকাংশের পূর্বাভাস এবারও ক্ষমতায় ফিরবেন মানিক সরকার।
এই মুহূর্তে বিধানসভা ভিত্তিক ফলাফলের নিরিখে ৬০ টি আসনের মধ্যে সিপিএম তথা বামফ্রন্টের দখলে রয়েছে ৫১ টি আসন। বিজেপির দখলে রয়েছে সাতটি এবং কংগ্রেসের দখলে রয়েছে ২ টি আসন। বিজেপির দখলে যে সাতটি আসন রয়েছে সবকটিই গিয়েছে তৃণমূল থেকে।
ত্রিপুরায় ষাটটি আসনের মধ্যে ১০ টি তফশিলি জাতি এবং ২০ টি আসন তফশিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত। ২০১৮-র নির্বাচনে ত্রিপুরায় ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৩২১৪।