শুধু তাজমহলই নয়, পবিত্র মক্কাতেও ছিল হিন্দু মন্দির! যোগীর রাজ্যে উঠল এমনই দাবি
তাজমহলের পর এবার টার্গেটে মক্কা। আলিগড় হিন্দু মহাসভার তরফে হিন্দুদের জন্য যে নতুন বছরের ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হয়েছে,তাতে তাজমহলকে মন্দির বলার সঙ্গে মক্কার মসজিদকেও মক্কেশ্বর মহাদেব মন্দির বলে উল্লেখ
তাজমহলের পর এবার টার্গেটে মক্কা। আলিগড় হিন্দু মহাসভার তরফে হিন্দুদের জন্য যে নতুন বছরের ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে তাজমহলকে মন্দির দেখানোর পাশাপাশি মক্কার মসজিদকেও মক্কেশ্বর মহাদেব মন্দির বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: কর সেবকরা অযোধ্যায় মন্দির ধ্বংস করেছিল! ধর্মীয় নেতার দাবিতে চাঞ্চল্য ]
একইভাবে মধ্যপ্রদেশের কমল মৌলা মসজিদকে ভোজশালা এবং কাশির জ্ঞানব্যাপী মসজিদকে বিশ্বনাথ মন্দির, কুতুব মিনারকে বিষ্ণু স্তম্ভ, জৌনপুরের আটালা মসজিদকে আটালা দেবী মন্দির এবং অযোধ্যার ধ্বংস করা বাবরি মসজিদকে রাম জনমভূমি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
মক্কা ছাড়া বাকি তাজমহল-সহ বাকি সাতটি মসজিদ মুঘল যুগের।
হিন্দু মহাসভার ন্যাশনাল সেক্রেটারি পূজাশাকুন পাণ্ডে জানিয়েছেন, তাঁরা হিন্দু ক্যালেন্ডারের নতুন বছর উপলক্ষে 'হাওয়ান' ধর্মানুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। দেশকে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করার উদ্দেশে তা করা হয়েছিল।
হিন্দু
মহাসভার
ন্যাশনাল
সেক্রেটারি
পূজাশাকুন
পাণ্ডে
জানিয়েছেন,
তাঁর
আশা
সরকার
তাঁদের
দাবি
মেনে
ভারতকে
হিন্দু
রাষ্ট্র
হিসেবে
ঘোষণা
করবে।
হিন্দু
মহাসভার
ন্যাশনাল
সেক্রেটারির
দাবি,
মুসলিমরা
হিন্দুদের
ধর্মীয়
স্থানগুলিকে
লুণ্ঠন
করে,
সেগুলিকে
মসজিদে
পরিণত
করেছিল।
একইভাবে
সেই
স্থানগুলির
নামও
পরিবর্তন
করা
হয়।
সেইজন্য
সেই
স্থানগুলিকে
তাদের
এবার
হিন্দুদের
কাছে
ফেরত
দেওয়া
উচিত,
যাতে
তাদের
সঠিক
নামে
ফেরানো
যায়।
নতুন
প্রকাশিত
ক্যালেন্ডারে
সেইভাবেই
উল্লেখ
করা
হয়েছে।
আলিগড়ের ভার্সেনি কলেজের ইতিহাসের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক বিপি সাক্সেনা নামগুলির অনুমোদন করেছেন বলে জানিয়েছেন হিন্দু মহাসভার ন্যাশনাল সেক্রেটারি। সাক্সেনার দাবি, ভারতের উল্লিখিত সাতটি ধর্মীয় স্থানে হিন্দুদের মন্দির ছিল। তাঁর দাবি, যদি কোনও বিতর্ক থাকে, তাহলে স্থানগুলিতে খনন কার্য চালানো হোক।
অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের একজিকিউটিভ কমিটির সদস্য ইমাম-ই ইদগা মৌলনা খালিদ রশিদ ফিরাঙ্গি মাহলি বলেছেন হিন্দু মহাসভার এই দাবি ভিত্তিহীন। একইসঙ্গে তিনি মনে করেন, পবিত্র মক্কাকে হিন্দুদের মন্দির হিসেবে দাবি করার অর্থ মুসলিমদের অনুভূতিতে আঘাত করা। যা ধর্ম নিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে। এই ধরনের মানুষেরা এই ধরনের দাবি করে অযাচিত ভাবে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
আলিগড়ের প্রাক্তন বিধায়ক জামিরুল্লা খান বলেছেন, পাকিস্তানে হাফিজ সইদের সঙ্গে এই ধরনের মানুষের কোনও পার্থকায নেই। যারা কিনা শুধু দেশের ক্ষতি করেন। দেশের দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ফাটল ধরাতেই এই ধরনের মন্তব্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।