সাইবার ক্রাইমে সবচেয়ে বেশি টার্গেট মহিলাদেরই, বলছে তথ্য
নয়াদিল্লি, ১০ অক্টোবর : সারা দেশেই বাড়ছে সাইবার ক্রাইমের সংখ্যা। আর এতে বেশি করে টার্গেট করা হচ্ছে মহিলাদেরই। একইসঙ্গে এর শিকারও হচ্ছেন সবচেয়ে বেশি মহিলারাই। [ফেসবুকের এই লুকানো বৈশিষ্ট্যগুলি আপনার অজানা]
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, মোট অপরাধের মধ্যে ১৩ শতাংশ ক্ষেত্রে মহিলাদের ব্ল্যাকমেল করা যা হেনস্থা করা হচ্ছে। [ফেসবুকে লুকোনো ফ্রেন্ডলিস্ট দেখার উপায়]
গতবারের তুলনায় নয়া রেকর্ডে সাইবার ক্রাইম ৬৩.৭ শতাংশ বেড়েছে বলেও জানানো হয়েছে। এরক আগে সারা দেশে সংখ্যাটি ছিল ৩৪৭৭টি। নতুন পরিসংখ্যানে তা বেড়ে হয়েছে ৫৬৯৩টি। [আপনি কি জানেন বিষণ্ণতার অন্যতম কারণ ফেসবুক?]
বিভিন্ন স্যোশাল মিডিয়ার প্রভাব গত কয়েকবছরে অনেকটাই বেড়েছে। ফলে এগুলিকে ব্যবহার করে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রবণতা আরও বেড়েছে বলেই ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্যে তুলে ধরা হয়েছে। [বস্তাপচা টুইট করে হাসির খোরাক হলেন হৃত্বিক রোশন]
বলা হয়েছে, জালিয়াতি, হ্য়াকিং, এই মাধ্যমকে ব্যবহার করে প্রতিশোধ নেওয়া মূলত এগুলিই সাইবার ক্রাইমের ক্ষেত্রে বেশি করে উঠে এসেছে। বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়া মহিলাদের একাংশ অভিযোগ জানিয়েছেন, তাদের প্রাক্তন স্বামীরা স্যোশাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করছেন। [মরণের পরেও 'জীবিত' থাকা যাবে ফেসবুকে!]
ব্ল্য়াকমেলিংয়ের ক্ষেত্রে সব অপরাধী যে টাকার দাবি করছে তা নয়। অন্য নানা দাবি থেকে এসব করা হচ্ছে। দাবি আদায় না হলে বিকৃত ছবি স্যোশাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে মহিলাদের। অনেকে প্রতিশোধ নিতেও মহিলাদের সঙ্গে এসব করছেন বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। [টুইটারে সাজিদ খানের নামে চলা ১৫ টি চটুল টুইট]
রিপোর্টে আর এক জায়গায় বলা হয়েছে, ফেসবুক সহ নানা স্যোশাল মিডিয়ায় আলাপ করে, বন্ধুত্ব পাতিয়ে মহিলাদের অপহরণ বা বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। পাশাপাশি চেনা মানুষদেরও টার্গেট হচ্ছেন মহিলারা। রিপোর্টে সেদিকেও ইঙ্গিত করা হয়েছে। [১০ বলিউড সেলেবস যাঁরা ফেসবুক, টুইটারকে ঘৃণা করেন]