করোনার থার্ড ওয়েভ কি আসন্ন, নতুন ধরনের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলল মধ্য প্রদেশ-মহারাষ্ট্রে
করোনার থার্ড ওয়েভ কি আসন্ন, নতুন ধরনের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলল মধ্য প্রদেশ-মহারাষ্ট্রে
করোনা ভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিেয়ন্টের নতুন ধরনের সংক্রমণ ধরা পড়ল মহারাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রদেশ। নতু ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ধরন রয়েছে, Delta variant AY.4.2। আরও মারণ নাকি এই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। আরও বেশি ঘাতক হতে পারে। এই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের হাত ধরেই নাকি দেশে করোনা ভাইরাসের থার্ড ওয়েভ আসবে বলে দাবি করেছিলেন গবেষকরা। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের এই নতুন ধরনের হদিশ মেলায় নতুন করে থার্ড ওয়েভের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
নতুন ধরনের করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট আতঙ্ক ধরাচ্ছে দেশে। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে সাতজন এই বিশেষ ধরনের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন। ন্যাশনাল সেন্টাপ ফর ডিজিস কন্ট্রোলে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে তাতে পাওয়া গিয়েছে এই নতুন ধরনের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান। নতুন ধরনের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে যে ৭ জন সংক্রমিত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে ২ জন সেনা আধিকারীক। ইন্দোরের চিফ মেডিকেল অফিসার জানিয়েছেন সেকথা। মহারাষ্ট্রে ১ শতাংশ এই করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের নতুন সংক্রমণের হদিশ মিলেছে।
গবেষকরা জানিয়েছেন করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের এই নতুন ধরন আরও বেশি সংক্রমক। ব্রিটেনেও ধরা পড়েছে তার সংক্রমণ। এর আগে ডেল্টা প্লাস এবং ডেল্টা প্লাস ওয়ান ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান মিলেছিল। সঙ্গে সঙ্গে সেগুলি নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছিল। মধ্যপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রেই এই ধরনের ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের হদিশ মিলেছিল। মহারাষ্ট্রে ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে ৩ জনের মৃত্যুও হয়েছিল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যাঁরা মারা গিয়েছিলেন তাঁরা সকলেই প্রবীণ এবং করোনা ভাইরাসের দুটি ডোজই ছিল তাঁদের। তাই ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেই ঘাতক হয়েছিল ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। তারপরেই গবেষকরা সতর্ক করেছিলেন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের হাত ধরেই দেশে করোনা ভাইরাসের থার্ড ওয়েভের সংক্রমণ ছড়াবে দেশে।
অক্টোবর মাসেই দেশে করোনা ভাইরাসের থার্ড ওয়েভ চরমে উঠবে বলে সতর্ক করেছিলেন গবেষকরা। এই থার্ড ওয়েভের সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নেবে দেশে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হবে শিশুরা। এমনই দাবি করেছিলেন গবেষকরা। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে তাই শিশুদের স্বাস্থ্য পরিষেবা সঠিক করার উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। সব রাজ্য সরকারকে শিশুেদর চিকিৎসা পরিষেবা সঠিক রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই সঙ্গে অক্সিজেনের মজুতও প্রতুল রাখার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
উৎসবের মরশুম শুরু হয়েও গেলেও এখনও দেশে তেমন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়নি। গোটা দেশে উল্টে নিম্নমুখী রয়েছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। মৃতের সংখ্যাও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেই সঙ্গে করোনা ভাইরাসে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যাও ক্রমশ কমতে শুরু করেছে। করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের হাত ধরেই মে মাসে দেশে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ আছড়ে পড়েছিল। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল দেশে। অক্সিজেনের চরম সংকট তৈরি হয়েছিল। অসংখ্য মানুষ মারা গিয়েছিলেন করোনা ভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভে। অক্সিজেনের অভাবে রাস্তায় পড়ে মারা গিয়েছিলেন মানুষ। এমনই অক্সিজেন সংকট তৈরি হয়েছিল দেশে।