সংক্রমিত রোগীকে শুরুতেই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ডোজ দিলে সারবে না করোনা, বলছে নয়া সমীক্ষা
সংক্রমিত রোগীকে শুরুতেই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ডোজ দিলে সারবে না করোনা, বলছে নয়া সমীক্ষা
বিশ্বজুড়ে ক্রমেই গুরুতর হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি। লাগাতার বেড়ে চলেছে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা।করোনা মোকাবিলায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন কার্যকরী একথা রটতেই ওষুধটির জন্য রীতিমতো মরিয়া হয়ে উঠেছিল আমেরিকার মতো দেশও।মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ওষুধকে করোনার 'গেম চেঞ্জার' বলেও অভিহিত করেছিলেন। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে গবেষণায় উঠে এল নতুন তথ্য, জানা যাচ্ছে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনে সারছেনা করোনা। গবেষকেরা জানাচ্ছেন সংক্রমিত রোগীকে শুরুতেই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ডোজ দিলে সারবে না করোনা।
করোনা প্রতিরোধে ব্যর্থ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, বলছে সমীক্ষা
আদপে ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন করোনা সংক্রমণের ৪দিনের মধ্যে প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করলেও, তাতে কোনোও ফল মিলবেনা বলেই জানিয়েছেন গবেষকরা। যদিও কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের কথায়, "হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ভাইরাসের সংস্পর্শে গেলে কার্যত কতদিনে সংক্রমণ রোধ করতে পারে তা সঠিক বাবে জানা যায়নি"।
প্রতিষেধক হিসেবে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের কার্যকারীতা জানতে চলে ট্রায়াল
সম্প্রতি নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনে গবেষকেরা SARS-CoV-2 নিয়ন্ত্রণে প্রতিষেধক হিসেবে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের উপর একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন। এর জন্য, তারা কানাডা এবং আমেরিকার কিছু অংশের রোগীদের উপর একটি প্লাসেবো এবং হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ট্রায়াল চালান।
৯০% ক্ষেত্রেই মিলছেনা ফল
সমীক্ষায় জানা যাচ্ছে, করোনা আক্রান্ত মোট ৮২১ জনের উপর প্লাসেবো ও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ট্রায়াল চালানো হয়েছিল। দেখা যায়, ৮২১ জনের মধ্যে প্রায় ৭১৯ জনের ক্ষেত্রেই এই ট্রায়ালে কোনোও সুফল মেলেনি। এক্ষেত্রে ৪১৪ জনের শরীরে ব্যবহার করা হয়েছিল হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন এবং ৪০৭ জনের শরীরে ব্যবহার করা হয়েছিল প্লাসেবো। জানা যাচ্ছে, এই তুলনামূলক পরীক্ষায় এই দু'টি ওষুধের মধ্যে কোনওটাকেই এগিয়ে রাখছেন না গবেষকরা। দুক্ষেত্রেই বাড়ছে অসুস্থতা। তবে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারে প্লাসেবোর থেকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বেশি হয় বলেও জানিয়েছেন গবেষকরা।
উঠে এসেছে ভিন্ন মতামতও
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চ্যাপেল হিলের ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলাইনার, গবেষক মাইরন এস কোহেন অবশ্য এই ব্যাপারে ভিন্ন মত পোষণ করেছেন। তার মতে, এই বিষয়ে এখনো বিস্তর গবেষণা চলছে এই ট্রায়াল গুলিতে থেকে এখনই কোনও নিশ্চিত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়। কেননা ব্যক্তি বিশেষে করোনা সংক্রমণ ভিন্ন মাত্রা ও ভিন্ন উপসর্গের সঙ্গে হচ্ছে বলে তার মত।
পি চিদম্বরমের জামিন বাতিলের দাবি সিবিআই-র, আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট