
মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব বার - রেস্তরাঁর, নয়া নিয়ম আনছে গোয়া
অতিরিক্ত মদ্য পান করে গাড়ি চালালেই প্রভুত সম্ভাবনা থাকে দুর্ঘটনার। ড্রিংক অ্যান্ড ড্রাইভ থেকে দুর্ঘটনা এড়াতে নয়া নিয়ম আনতে চলেছে গোয়া সরকার। এবার থেকে অতিরিক্ত মদ্যপদের জন্য বার ও রেস্তোরাঁকে রাখতে হবে স্পেস্যাল গাড়ি। আর সেই গাড়ি করে ওই ব্যক্তিদের একদম তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসতে হবে।
গোয়ার পরিবহণ মন্ত্রী মাউভিন গোডিনহো সোমবার এই কথা বলেছেন। রোড সেফটি উইকে কথা বলার সময় তিনি এই কথা জানান। গত বছরেও তিনি এই নিয়মের কথা বলেছিলেন, কিন্তু তা বাস্তবায়িত করা যায়নি। যদিও সম্প্রতি গোয়া পুলিশ রাতের বেলায় গাড়িতে তল্লাশির পরিমাণ বাড়িয়েছে। কেউ মদ পান করে গাড়ি চালালেই দেওয়া হচ্ছে কেস।

কী বলছে গোয়ার পরিবহণমন্ত্রী?
গোডিনহোর মতে, "যদি কেউ মদ্য পান করে থাকে তাহলে বারের মালিকদের তাঁদের নিজস্ব গাড়িতে বাড়ি যেতে দিলে চলবে না। তাঁদের আলাদা কোনও ক্যাব বুক করে দিতে হবে বা নিজেদের গাড়ি থাকলে সেটা করে সেই অতিরিক্ত মদ্যপ কাস্টমারকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসতে হবে। তাঁদের নিজের গাড়ি থাকবে ও বার বাঁ রেস্তোরার জিম্মায়। পরের দিন তাঁরা তাঁদের নিজের গাড়ি ফেরত নিয়ে চলে যাবেন"

কড়া নজর
তিনি বলেন যে, "আমি আমাদের অফিসারদের স্পষ্ট বলছি যে প্রত্যেক বার ও রেস্তরাঁয় ভালো করে নজর রাখুন। কারা এমন ভাবে মদ্য পান করে গাড়ি চালাচ্ছে তাঁদের উপর নজর রাখুন। কেউ যদি বার বা রেস্তরাঁয় গিয়ে বেশি মদ খেয়ে ফেলেন তাহলে এটা তখন হবে ওই বার বাঁ রেস্তরাঁর দায়িত্ব যে তাঁরা যেম]ন তাঁর কাস্টমারকে সঠিক ভাবে বাড়ি পৌঁছে দিতে সাহায্য করে। একেবারেই ওই ধরনের কাস্টমারকে নিজের গাড়ি চালিয়ে ফিরতে দেবেন না। আমরা এই বিষয়ে এবার সত্যি কঠোর নিয়ম আনতে চলেছি।"

বিদেশের মতো
গোডিনহো বলেন যে, বিদেশের মতোই প্রত্যেককে এই আইন মেনে চলতেই হবে। কারণ অন্য দেশে এই নিয়ম রয়েছে। তিনি বলেছেন গোয়ার বাসিন্দা বা অন্য কোনও রাজ্যের টুরিস্ট যখন বিদেশে বেড়াতে যান তাঁরা কী তখন সেখানকার নিয়ম মেনে চলেন না? গোয়া মোটেই এমন জায়গা নয় যেখানে সব নিয়ম ভাঙা যায়, এখানে সবাই সবাইকে চেনে, সবাই সবার সঙ্গে খুব ভালো ভাবে যুক্ত।, কারণ এখানকার জনসংখ্যা মাত্র ১৫ লক্ষ। তা বলে এটা হবে না যে তোমার চেনা জানা আছে বলে তুমি যা তা কিছু একটা করে ছাড় পেয়ে গেলে। এটা যা হইয়ে গিয়েছে সেটা হয়ে গিয়েছে। এবার থেকে এসব আর হবে না। যে নিয়ম ভাংবে তাঁকে ফাইন করা হবে"

২০ শতাংশ ঘটনা মদ্যপান করে
তিনি বলেন, "আমি এই ড্রিংক অ্যান্ড ড্রাইভ কেস নিয়ে খুব নিয়ে খুবই চিন্তিত। কারণ আমি দেখেছি যে গোয়া মেডিকেল হাসপাতালে অন্তত ২০ শতাংশ কেস এসেছে এই ধরনের অ্যাক্সিডেন্টের। এটা হতে পারে না। তাই আমি বলছি এই বিষয়টা এবার শক্ত হাতে দেখতে হবে।"