প্রভিডেন্ট ফান্ডের সঞ্চয় আরও কমতে পারে! বেতনের টাকা নিয়ে আসন্ন বিল ঘিরে নয়া জল্পনা
বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, কর্মচারীদের বেতনের ১২ শতাংশ টাকা যায় প্রভিডেন্ট ফান্ডে। আর সেই টাকা যাওয়ার পর যা হাতে থাকে, তাই দিয়ে অনেকেরই জীবনধরণের খরচ উঠে আসে।
বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, কর্মচারীদের বেতনের ১২ শতাংশ টাকা যায় প্রভিডেন্ট ফান্ডে। আর সেই টাকা যাওয়ার পর যা হাতে থাকে, তা জমিয়ে রেখে অনেকেরই শেষ বয়সের খরচ চলে। এবার সেই প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকার শতাংশ কমিয়ে, বেতন থেকে হাতে পাওয়া বেতনের টাকার অঙ্ক বাড়ানোর সুযোগ মিলতে পারে। তার জন্য নতুন প্রস্তাব আসতে পারে 'সোস্যাল সিকিউরিটি কোড ' বিলের হাত ধরে।
কী থাকতে পারে নয়া নিয়মে?
কেন্দ্রের শ্রমমন্ত্রকের তরফে আসছে ২০১৯ সোশ্যাল সিকিউরিটি কোড বিল। ১২ শতাংশ প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকার অঙ্ক এবার কেউ ইচ্ছে করলেই কমিয়ে আনতে পারেন নিজের বেতন থেকে। যার ফলে হাতে পাওয়া বেতনের টাকার অঙ্ক অনেকটাই বেশি থাকবে। আর এমনই সমস্ত বিষয় থাকতে চলেছে আসন্ন বিলে। দাবি সূত্রের।
কেন হাতে থাকা টাকার অঙ্ক বাড়াতে চাইছে কেন্দ্র?
মূলত দেশ জুড়ে আর্থিক মন্দার বাজারে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে ঝুঁকতে চাইছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। আর তার জন্যই শ্রমমন্ত্রকের তরফে এমন বিল আনবার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। সাধারণের হাতে বেতনের বেশি অংশের টাকা থেকে গেল, তাঁদের ক্রয় ক্ষমতা বাড়বে। যার জেরে দেশে বিক্রয়ের বাজারে উন্নতি আসবে। দেশ জুড়ে আর্থিক পরিস্থিতি উন্নত হতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই অটোমোবাইল সেক্টর ধ্বসের দিকে দৌড়তে শুরু করেছে। আর গাড়ি বিক্রির বন্ধ তার অন্যতম কারণ। এমন এক পরিস্থিতিতে নাগরিকদের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ানো বড় লক্ষ্যমাত্রা সরকারের কাছে।
গ্র্যাচুইয়িটি নিয়ে নয়া আইন
নতুন বিলে বলা হচ্ছে, যে সমস্ত কর্মীরা সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধভাবে কাজ করছেন গ্র্যাচুইটির অঙ্ক এবার তাঁদেরও প্রাপ্য। এর আগে একমাত্রা সংস্থার স্থায়ী কর্মীরা ৫ বছর চাকরিজীবনের পরই গ্র্যাচুইটি পেতেন। সেই ১৯৭২ গ্র্যাচুইটি অ্যাক্ট সম্ভবত এবার পাল্টাতে চলেছে।
কর্মচারীদের সুবিধার্থে নতুন স্কিম
কর্মচরীদের সুবিধার্থে এবার নতুন ওয়েলফেয়ার স্কিমের বন্দোবস্ত করতে চলেছে সরকার। সেক্ষেত্রে ইপিএফও ও ইসিআইসি থেকে কর্পোরেটাইজেশনের প্রস্তাব সরিয়ে দেওয়া হবে। নতুন ওয়েলফেয়ার স্কিমের আওতায় রাখা হবে মেডিক্যাল কভার, পেনশন স্কিম।