ওমিক্রনে শিশুদের নিয়েই সমস্যা বেশি, নয়া গবেষণায় বাড়ছে আশঙ্কা
ওমিক্রনে শিশুদের নিয়েই সমস্যা বেশি, নয়া গবেষণায় বাড়ছে আশঙ্কা
দেশে তৃতীয় ঢেউ ক্রমে বড় আকার ধারণ করেছে। আর এই তৃতীয় ঢেউ দেশে হাজির হয়েছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের হাত ধরে। দেশ জুড়ে খুলে গিয়েছিল স্কুল। অফিস চলছিল স্বাভাবিক নিয়মে। পুরো যাত্রী নিয়ে চলছিল সমস্ত যানবাহন। ওমিক্রনের ধাক্কায় ফের লাগু হয়েছে নানা বিধি। শুরু হয়েছে ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ দেওয়াও। এই তৃতীয় ঢেউ আসার আগে থেকেই বলা হয়েছিল এতে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হতে পারে। সেরকম এখনও পর্যন্ত না দেখা গেলেও চিকিৎসকরা সতর্ক করছেন। তাঁরা বলছেন তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আসা ওমিক্রন শিশুদের জন্য বেশি সমস্যার হতে পারে।
ওমিক্রন করোনার অন্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় কম বিপদে ফেলছে। দেখা গিয়েছে সমস্ত দেশেই যারা এতে আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের উপসর্গ থাকছে মৃদু। তবে নয়া গবেষণা আবার একটু অন্য কথা বলছে। বলা হচ্ছে শিশুদের ওমিক্রনের সমস্যা বেশি হতে পারে। অথচ দেখা গিয়েছে যারা বয়স্ক তাদের এই ওমিক্রন বেশি আক্রমন করছে। গবেষণা এও বলছে কিছু না হোক ডেল্টার থেকে ওমিক্রনে ছোটরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। শিশুদের জন্য এটা বেশি সমস্যা বলে দাবি করছে গবেষণা। চিকিৎসকরা বলছেন এতে বাচ্চাদের শরীরে বেশি উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। একটি পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এই কথা বলা হচ্ছে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, 'ওমিক্রনের উৎস্থল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখানকার পরিসংখ্যান বলছে, ৫ বছরের কমবয়সি শিশুদের উপর ওমিক্রন বেশি প্রভাব ফেলছিল। বিশেষ করে যে সব শিশু জটিল রোগাক্রান্ত অথবা যাদের ইমিউমিটি কম ওমিক্রন তাদের উপর বেশি প্রভাব ফেলছে। সেটা পূর্বের ভ্যারিয়েন্টে হয়নি।'
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ' ৫ বছরের কমবয়সি শিশুদের সমস্যা বেশি। তাদের সাবধানে রাখতে হবে। আমাদের দেশে অনেক জায়গাতেই অনেক শিশুর ইমিউমিটি কম। তাদের সমস্যা বেশি হতে পারে। তাই বাবা মাকে সতর্ক হতে হবে। সবার আগে বাবা মাকে ভ্যাকসিন নিতে হবে। এখন বাইরের কাউকে বাড়িতে না ডাকাই ভালো। ডাকলেও বেশি ভিড় যেন না হয়। এই বিষয়গুলি নজরে রাখতে হবে'।