নিউ মেকার ২০২০: ক্ষমতার মোহ, জনসমর্থন হারিয়েও মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ, বছর শেষেও ভেসে থাকলেন খবরে
নিউ মেকার ২০২০: ক্ষমতার মোহ, জনসমর্থন হারিয়েও মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ, বছর শেষেও ভেসে থাকলেন খবর
ক্ষমতার মোহ আর সেটা দখলে রাখা কাকে বলে সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার। জনসমর্থন হারিয়েও কীভাবে মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকা যায় সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। লকডাউন ঘোষণার পর থেকেই ধীরে ধীরে জেগে উঠছিলেন নীতীশ। প্রস্তুতি শুরু করছিলেন। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর সিবিআই তদন্তের সমর্থন জানানোর সময় থেকেঅ শুরু। তারপর ধাপে ধাপে এগিয়েছেন নীতীশ। একেবারে দাবার ছকের মতো ছিল পরিকল্পনা। কখন কীভাবে কোন রাস্তায় গেলে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবেন সেই পথেই পরিকল্পনা করে এগিয়েছেন তিনি।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিতে প্রথম সমর্থন জানান নীতীশ কুমার। পুরোটাই ছিল ছকে বাধা। সঙ্গে সঙ্গে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়ে দেয় মোদী সরকার। বিহারের একাংশের ভাবাবেগ নতুন করে জেগে ওঠে নীতীশের দিকে। সেখান থেকে ধাপে ধাপে এগিয়ে বিজেপির সঙ্গে আসন সমঝোতা শুরু হয়। বারবরই বিজেপির সঙ্গে আসন সমঝোতায় নিজের মুখ্যমন্ত্রী পদটি সুনিশ্চিত করে রেখেছিলেন নীতীশ কুমার।
করোনা আবহে প্রথম বিধানসভা ভোট বিহারে। তাই সেদিকে একটু বেশি নজর ছিল গোটা দেশের। তার উপরে আবার বিহার ভোটের পরেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোট। বিজেপির কাছে তাই বড় চ্যালেঞ্জ ছিল বিহার। তাই নীতীশের দাবি মেনে নিয়ে মুহূর্ত বিলম্ব করেননি অমিত শাহরা। কিন্তু ঘটনা চক্রে বিজেিপর চাণক্য বিহারের ভোট ময়দানে নামতে পারেনি। করোনা থাবা বসিয়েছিল তাঁর উপর। একা মোদীকেই ময়দানে নামতে হয়েছে। করোনা ভ্যাকসিনের মোক্ষম চালে অর্ধেক কেল্লা ফতে করে ফেলেছিল বিজেপি। তার সঙ্গে কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি।
সেই নীতীশই এলেন ক্ষমতায়। তবে এবার তাঁর জনসমর্থন ছিল একেবারে তলানিতে। যদিও বুথ ফেরত সমীক্ষা বারবার আরজেডি মহাজোটের সরকারের কথা বলেছিল। কিন্তু সব ওলটপালট করে দিয়ে ক্ষমতায় ফেরে জেডিইউ-বিজেপি জোট। আরজেডি বৃহত্তম দলের তকমা পেলেও সরকার গড়তে পারেনি। এদিকে এনডিএ জোটে জেডিইউ-র ভোট ছিল নাম মাত্র। সিংহভাগ ভোটই পেয়েছিল বিজেপি। জনপ্রিয়তা হারিয়েও সেই বিজেপির ভোটেই ফের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসলেন নীতীশ কুমার। বছরের অর্ধেকটাই জুড়ে ছিলেন তিনি।