লেখা হয়েছিল নতুন ইতিহাস! রাম মন্দিরের শিলান্যাস-৩৭০ ধারা বাতিলের বর্ষপূর্তিতে বড় বার্তা মোদীর
২০১৪ সালে প্রথমবার মসনদে বসাই হোক বা ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতা দখল, প্রতিক্ষেত্রেই একাধিক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গিয়েছে মোদী সরকারকে। ৩৭০ ধারা বাতিল হোক বা রাম মন্দিরের শিলান্যাস বেশিরভাগই হয়েছে বিশেষ দিনে।
২০১৪ সালে প্রথমবার মসনদে বসাই হোক বা ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতা দখল, প্রতিক্ষেত্রেই একাধিক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গিয়েছে মোদী সরকারকে। ৩৭০ ধারা বাতিল হোক বা রাম মন্দিরের শিলান্যাস বেশিরভাগই হয়েছে বিশেষ দিনে। এবার সেই ৫ অগাষ্টের বর্ষপূর্তিতে দাঁড়িয়েই ফের জাতীর উদ্দেশ্য বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদীর কথায় প্রতিবার এই দিনেই 'শ্রেষ্ঠ ভারত’ হওয়ার দিকে এগিয়ে গিয়েছিল দেশ।
|
বিশেষ টুইট মোদীর
এদিন দুপুরে ৫ অগাষ্ট উপলক্ষে টুইটও করতে দেখা যায় নরেন্দ্র মোদীকে। সেখানেই তিনি লেখেন, " ৫ আগস্ট তারিখটি বরাবরই দেশের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই ৫ অগাস্টেই প্রথম আমাদের দেশ এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারতের আদর্শের পথে পা রেখেছিল। এই ৫ আগস্টেই ৩৭০ ধারা বাতিল হয়েছিল। এই দিনই নতুন করে নিজেদের অধিকার পেয়েছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের সমস্ত নাগরিক।"
ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে বার্তা
অন্যদিকে এদিন উত্তরপ্রদেশে 'প্রধানমন্ত্রী গরিবকল্যাণ অন্ন যোজনা'-র সুবিধোভোগীদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন মোদী। সেখানেও রাম মন্দির থেকে কাশ্মীর প্রতিটা প্রসঙ্গই উঠে আসে তাঁর মুখে। ৩৭০ ধারা পদের পাশাপাশি রাম মন্দির নির্মাণের প্রথম ধাপ হিসাবে ভূমিপুজোর কথাও বলতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। আর সে কারণেই আজকের দিনটি চিরকাল ভারতের ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি।
নেপথ্যে কাশ্নীর জট
যদিও গোটা বার্তাই দেন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেই। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করা হয়। বাতিল হয়ে যায় সংবিধানের ৩৭০ ধারা। আর যার গোটা চিত্রনাট্যই রচনা করে মোদী সরকার। ওই সময় থেকেই গোটা রাজ্যকে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ, এই দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়। যা নিয়ে আজও চলছে বিতর্ক। যদিও কেন্দ্রের দাবি এতে লাভই হয়েছে উপত্যকার মানুষের। যদিও বিরোধীদের দাবি এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে জোর করে কাশ্মীরের মানুষের অধিকার হরন করেছে মোদী সরকার।
দীর্ঘ বিতর্ক, আইনি লড়াই শেষে শুরু হয় রাম মন্দিরের যাত্রা
অন্যদিকে দেশজোড়া বিতর্কের এই দিনই গতবছর হয়ে যায় রাম মন্দিরের শিলান্যাস। দীর্ঘ বিতর্ক, আইনি লড়াই, রাজনৈতিক জট কাটিয়ে অবশেষে অযোধ্যায় বিতর্কিত জায়গায় রাম মন্দির তৈরির পথ প্রশস্ত হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতেই স্থাপিত হয় রাম মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর। এমনকী ওই দিন প্রধানমন্ত্রীর ভূমিপুজোর অন্যতম প্রধান দর্শক ছিলেন স্বয়ং তাঁর মা হিরাবেনও।