গুজরাতের নয়া মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেন শপথ নিতে পারেন ২২ মে
আনন্দীবেনই হবেন গুজরাতের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। গান্ধীনগরেই আনন্দীবেনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। উপস্থিত থাকবেন দেশের ভাবী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ বিধানসভায় নরেন্দ্র মোদীর বিদায়ী অনুষ্ঠানের পরই স্বভাবত আনন্দীবেনের শপথ গ্রহণের দিন ঘোষণা হবে। সূত্রের খবর অনুযায়ী এদিনই ৭২ বছরের আনন্দীবেনকে গুজরাতের ভারতীয় জনতা পার্টির নির্বাচিত নেত্রী ঘোষণা করা হতে পারে।
২০০১ সাল মোদীর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সময় থেকেই আনন্দীবেন মোদী ক্যাবিনেটের সদস্য ছিলেন। ১৯৯৮ সাল থেকে আনন্দীবেন ক্যাবিনেট মন্ত্রী ছিলেন। রাজস্বের পাশাপাশি, দুর্যোগ মোকাবিলা, শিক্ষা এবং মহিলা ও শিশু কল্যাণ দফতরের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। এছাড়াও বর্তমানে গ্রামীণ উন্নয়ন, গ্রামীণ আবাসন বিষয়ক কাজও সামলিয়েছেন। মোদী ক্যাবিনেটের অন্যতম ক্ষমতাশালী মন্ত্রী আনন্দীবেন।
এই বর্ষীয়াণ মহিলা নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রীসভায় একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মুখ। নরেন্দ্র মোদীর ঘণিষ্ঠ বলেই পরিচিত তিনি। এমনকী বিভিন্ন জটিল বিষয়ে নরেন্দ্র মোদী তাঁর পরামর্শ নেন। ফলে, গুজরাতের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে প্রথম থেকেই অনেকটা এগিয়ে ছিলেন তিনি। ওয়ান ইন্ডিয়াই প্রথম গুজরাতে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আনন্দীবেনের নাম প্রকাশ করেছিল। (বিশদে পড়তে এখানে ক্লিক করুন : গুজরাতের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে আনন্দীবেন)
মোদী সরকারে যে আনন্দীবেনের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল তার উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, ২০১২ সালে বিধানসভা নির্বাচনে পাটান বিধানসভা কেন্দ্র থেকে আহমেদাবাদের ঘাটলোডিয়া কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য নিয়ে আসা হয়। মোদীর আর এক ঘণিষ্ঠ অমিত শাহ নিজের কেন্দ্র আনন্দীবেনের জন্য ছেড়ে দেন এবং নিজে নারানপুরা কেন্দ্রে সরে যান।
গুজরাতের বিজেপি নেতৃত্বও আনন্দীবেনের মুখ্যমন্তরী হওয়ার বিষয়ে একমত। এক বিজেপি নেতার কথায়, যেহেতু একা হাতে বিভিন্ন দফতর সামলিয়েছেন আনন্দীবেন, ফলে স্বভাবতই তার নামটি উঠে এসেছে। নরেন্দ্র মোদী নিজেও বিজেপি এবং সঙ্ঘ পরিবারের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে এবিষয়ে আলোচনা করেছেন। এবং সবাই এই বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন বলে ওই বিজেপি নেতা জানিয়েছেন।