এক বছর জম্মুতে বসবাস করলেই মিলবে ভোটাধিকার! কমিশনের নির্দেশে ভূস্বর্গে বাড়ছে ক্ষোভ
জম্মু-কাশ্মীরের ভোটারদের জন্যে বড় খবর। এক বছর সেখানে বসবাস করলেই ভোটাধিকার পাওয়া যাবে। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন জম্মুর ডেপুটি কমিশনার। যদিও অগাস্ট মাসেই এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের তরফে স্পষ্ট করা হয়েছিল। কিন্ত্য এতদিন পর ভো
জম্মু-কাশ্মীরের ভোটারদের জন্যে বড় খবর। এক বছর সেখানে বসবাস করলেই ভোটাধিকার পাওয়া যাবে। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন জম্মুর ডেপুটি কমিশনার। যদিও অগাস্ট মাসেই এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের তরফে স্পষ্ট করা হয়েছিল। কিন্ত্য এতদিন পর ভোটাধিকার পাওয়া নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল সে রাজ্যের ডেপুটি কমিশনার।
খুব শীঘ্রই সম্ভবত ভোট হতে পারে জম্মু-কাশ্মীরে। যদিও এই বিষয়ে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছে মোদী সরকার। আর এরপরেই এরিয়া ডিলিমিটেশনের কাজ হয়। এবং তা কয়েক মাস হয়েছে শেষও হয়ে গিয়েছে। আর এরপরেই কারা ভোটাধিকার পাবে তা নিয়ে কমিশনের একটি সিদ্ধান্ত ঘিরে ক্ষুব্ধ হয় রাজনৈতিক দলগুলি।
যদিও কমিশন জানাচ্ছে, জম্মুতে যারা এক বছরের বেশি সময় ধরেই থাকছেন তাঁদের সবাইকেই বৈধ ভোটার হিসাবে গন্য করা হবে। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে সার্টিফিকেট ইস্যু করার কথাও বলা হয়েছে। যদিও সমস্ত নথি খতিয়ে দেখেই এই কাজ করার কথা বলা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে যাতে কোনও ভোটার বাদ না যায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
২০১৯ সালে ফের কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসে মোদী সরকার। আর তা আসার পরেই বিতর্কিত ৩৭০ ধারা তুলে নেয়। যা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ-বিক্ষোভ হয়। সেখানে দাঁড়িয়ে এই প্রথম ভোটার তালিকায় সংশোধন হচ্ছে জম্মু এবং কাশ্মীরে। এক্ষেত্রে কি কি তিথ্য লাগবে তা ডেপুটি কমিশনের তাঁর নির্দেশে জানিয়ে দিয়েছেন।
বলা হয়েছে আধার কার্ড, জল অথবা বিদ্যুৎ কিংবা গ্যাস সংযোগের নথি বসবাসকারী প্রমান্য নথি হিসাবে জমা দেওয়া যাবে। এছাড়াও ব্যাঙ্কের পাসবুক, পাসপোর্ট কিংবা জমির দলিলও জমা দেওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে। যদিও এই সিদ্ধান্ত মোটেই মেনে নিতে পারছেন না ভূস্বর্গের রাজনৈতিক দলগুলি।
এই নির্দেশ সামনে আসার পরেই টুইটারে তোপ দেগেছে 'জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স'। তাঁদের দাবি, স্থানীয় নন এমন ২৫ লক্ষ ভোটারকে এর মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এমনকি এই বিষয়ে বিজেপিকে তোপ দাগে তাঁরা। রাজনৈতিক দলের মতে, বিজেপি হারের ভয় পাচ্ছে। আর সেই কারণে এমন ষড়যন্ত্র করছে।
তবে জম্মু-কাশ্মীরর মানুষ ব্যালট বাক্সে এর জবাব দেবে বলে হুঁশিয়ারি ওই দলের। যদিও নির্বাচন কমিশনের দাবি, যাতে কোনও যোগ্য ভোটার বাদ না পড়ে যায় সেদিকে তাকিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কার্যত প্রতিবাদের ঝড় উঠতে শুরু করেছে।