টিকার কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলছে নয়া করোনা স্ট্রেন! নতুন গবেষণায় বাড়ছে আতঙ্ক
টিকার কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলছে নয়া করোনা স্ট্রেন! নতুন গবেষণায় বাড়ছে আতঙ্ক
বিশ্বজুড়ে নানা দেশেই দেখা মিলছে বহুরূপী করোনার নতুন নতুন স্ট্রেনের। স্ট্রেনগুলির সংক্রমণের গতি বহুগুণ বৃদ্ধির ফলে করোনা প্রাদুর্ভাব রুখতে স্বাভাবিকভাবেই নানান প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছে বিশ্বের পিছিয়ে পড়া দেশগুলি। ইতিপূর্বে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন নবস্ট্রে নগুলিকে রুখতে সমর্থ হবে সদ্য বাজারে আগত ভ্যাকসিনগুলি, কিন্তু সেই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করেছে সাম্প্রতিক গবেষণা। সূত্রের খবর, দক্ষিণ আফ্রিকার যে স্ট্রেন ইতিমধ্যেই বিশ্বের প্রায় ডজনখানেক দেশে ছড়িয়েছে, সেটিও ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধে সক্ষম বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা।
উঠছে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন
এদিকে সম্প্রতি ৬ কোভিড আক্রান্তের শরীর থেকে অ্যান্টিবডি নিয়ে দেখা গেছে যে স্বেতকণিকারা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে অক্ষম। বর্তমান করোনা স্ট্রেনগুলি যে অ্যান্টিবডিকে ফাঁকি দিতে সমর্থ, সে বিষয়ে জানিয়েছেন ম্যাক্স প্ল্যাংক ইনস্টিটিউটের জীবাণুবিদ অ্যালেক্স সিগাল। আর এখানেই উঠছে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন। যদিও এ বিষয়ে আরও গবেষণার দিকেই ইঙ্গিত দিয়েছেন সিগাল।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে গবেষণায় উঠে আসছে একই ফলাফল
আন্তর্জাতিক সূত্রের মতে, সিগালের গবেষণার সঙ্গে মিল রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কমিউনিকেবল ডিসিস-এর মঙ্গলবারের রিপোর্টের। অন্যদিকে, বৃহৎ নমুনার উপর সমীক্ষা চালিয়ে অপর এক গবেষকদল জানিয়েছেন যে অভিযোজনের কারণে ভ্যাকসিনগত প্রতিরোধ কিছু ক্ষেত্রে ভাঙতে সমর্থ করোনা। যদিও এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের মত, "অন্তিম ফলাফল গণনার পূর্বে কোনো গবেষণাই প্রকাশ করা উচিত নয়, তাতে জনমানসে আশঙ্কা ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।"
ঠিক কী বলছে গবেষণার ফলাফল ?
ছয়জনের মধ্যে একজনের বাদে বাকি প্রত্যেকের অ্যান্টিবডিই করোনার বিরুদ্ধে লড়তে ব্যর্থ হয়, গবেষণার বিষয়ে সিগালের বক্তব্য এমনই। অন্য একটি গবেষণায় সেপ্টেম্বর মাসে আক্রান্ত দক্ষিণ আফ্রিকার ৪৪ জনের রক্তের নমুনা নেওয়া হয়। গবেষকদলের মতে, ৪৪ জনের অর্ধেকের অ্যান্টিবডিই নতুন স্ট্রেনের বিরুদ্ধে লড়তে অক্ষম। বাকি অর্ধেক সংখ্যক অ্যান্টিবডি সম্পূর্ণ অক্ষম না হলেও যথেষ্ট দুর্বল বলেই জানিয়েছেন গবেষকরা।
মডার্না ও ফাইজার ভ্যাকসিনপ্রাপ্তদের উপর গবেষণা
আন্তর্জাতিক জার্নালের তথ্যানুসারে, রকফেলার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ইতিমধ্যেই মডার্না ও ফাইজার ভ্যাকসিনপ্রাপ্তদের রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য বেছে নেন। সূত্রের খবর, ২০ জনের উপর চলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এই ২০ জনের শরীরে নতুন স্ট্রেনের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি গড়ে উঠলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে পলায়নে সক্ষম হয় কিছু স্ট্রেন। সূত্রের খবর, রকফেলারের গবেষকরা স্পাইক প্রোটিনে তিনরকমের অভিযোজনযুক্ত ও দক্ষিণ আফ্রিকার গবেষকরা স্পাইক প্রোটিনে আটরকমের অভিযোজনযুক্ত ভাইরাস বেছে নিলেও এহেন গবেষণা যে যথেষ্ট নয়, তা জানিয়েছে হু।
বঙ্গ রাজনীতিতে সিদ্দিকি-ওয়েইসিরা কত বড় ফ্যাক্টর? 'ভোট' ধরে রাখতে কোন ছক কষছেন মমতা