ক্রমশঃ ভয় বাড়াচ্ছে ওমিক্রন, দিল্লি–রাজস্থানে নতুন কেস সহ দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯
নভেম্বরের গোড়ার দিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় সনাক্ত হয় করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। বিশ্বের একাধিক দেশের পাশাপাশি ভারতেও ঢুকে পড়ে এই ভ্যারিয়েন্ট। দিল্লি ও রাজস্থানে কোভিড ওমিক্রনের নতুন কেস দেখা দিয়েছে এবং সব মিলিয়ে দেশে নতুন এই স্ট্রেনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৪৯।


এর আগে ৪২ বছরের এক গুজরাতি ব্যক্তি, যিনি সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফেরেন তিনি করোনা ভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হন। প্রথমে ওই ব্যক্তির করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে, ৩ ডিসেম্বর তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা, ভায়া কেনিয়া ও আবি ধাবি থেকে দিল্লি আসেন। এরপর তিনি ৪ ডিসেম্বর দ্বিতীয় টেস্ট করান, তার রিপোর্টও নেগেটিভ আসে। এরপর তিনি হাসপাতালে আইসোলেশনে চলে যান। এরপর ৮ ডিসেম্বর তিনি করোনা ভাইরাসের ওমিক্রনে আক্রান্ত হন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়। ওই ব্যক্তির নমুনা জিনোম সিক্যুয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে ওই ব্যক্তিকে বাড়িতে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে এবং তাঁর পরিবার ও চারজন সহযাত্রীর করোনা টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
সোমবার মহারাষ্ট্র থেকেও ২টি নতুন ওমিক্রনের কেস সনাক্ত হয়েছে, উভয় রোগী দুবাই থেকে ফিরেছেন। উচ্চ সংক্রমণযোগ্য এই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ইতিমধ্যেই দেশের ৬টি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। যার মধ্যে মহারাষ্ট্র (২০), রাজস্থান (৯), কর্নাটক (৩), গুজরাত (৪), কেরল (১) ও অন্ধ্রপ্রদেশ (১) রয়েছে। এছাড়া দিল্লি (৬) ও চণ্ডীগড় (১) কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলও রয়েছে। কেন্দ্র সরকার দেশবাসীকে যথাযথ কোভিড বিধি মেনে চলতে বলেছে এবং যত শীঘ্র সম্ভব দেশবাসীকে টিকাকরণ করিয়ে নেওয়ার আর্জি করেছে।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী ভারতে একদিনে করোনা পজিটিভ ৫,৭৮৪ জন, এই নিয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩,৪৭,০৬,৩৪৪ এবং সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে ৮৮,৯৯৩ জন। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম এই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সনাক্ত হয় এবং ব্রিটেনে প্রথম এই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে মৃত্যু হয়েছে। এই ভ্যারিয়ন্টটি কতটা সংক্রমক এবং এর বিরুদ্ধে বিদ্যমান ভ্যাকসিনগুলি কতটা কার্যকর তা নির্ধারণ করতে বিশ্বব্যাপী বিশেষজ্ঞরা গবেষণা চালাচ্ছে।