ফোনে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে সিজার নার্সদের, মৃত সদ্যোজাত
প্রসূতির চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ উঠল।এই অবহেলার জেরেই মৃত্যু হয়েছে সদ্যোজাত শিশুটির।অভিযোগ,চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতে তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলে প্রসূতির প্রসবের প্রক্রিয়া শুরু করেন নার্সরা
প্রসূতির চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ উঠল। এই অবহেলার জেরেই মৃত্যু হয়েছে সদ্যোজাত শিশুটির। অভিযোগ, চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতে তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলে প্রসূতির প্রসবের প্রক্রিয়া শুরু করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্সরা।
ওড়িশার কেন্দ্রপাড়ার সাই হাসপাতালে চিকিৎসক রশ্মিকান্ত পাত্রর অধীনের চিকিৎসাধীন ছিলেন আরতী শ্যামল নামে ওই প্রসূতি।
প্রসূতির অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকদের অনুপস্থিতিতে নার্সরাই অপারেশনের কাজ শুরু করেন। অভিযোগ, চিকিৎসককে ফোনে রেখেই অপারেশনের কাজ শুরু হয়। যদিও, সদ্যোজাতকে বাঁচানো যায়নি।
প্রসূতির স্বামী কল্পতরু শ্যামল সদ্যোজাতের দেহ নিয়ে কেন্দ্রপাড়া টাউন পুলিশ স্টেশনে যান এবং চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসক রশ্মিকান্ত পাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি প্রসূতিকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। একইসঙ্গে তিনি জানান, হাসপাতালে না থাকলেও, নার্সদের সঙ্গে কথা বলে তিনি প্রসূতির সঠিক চিকিৎসার বন্দোবস্ত করবেন। যদিও প্রসূতির অবস্থা খারাপ হলেও, চিকিৎসক হাসপাতালে যাননি।
প্রসূতির স্বামী কল্পতরু শ্যামল জানিয়েছেন, কে এই কাজ করেছেন তিনি জানেন না, তবে এই কাজের জন্য তাঁর প্রথম সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর স্ত্রীর জরায়ুও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নার্সরা দাবি করছেন, চিকিৎসকের সঙ্গে ফোনে কথা বলে তাঁরা ১০০ শতাংশ চেষ্টা করেছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলার জেরেই ঘটনাটি ঘটেছে বলে অভিযোগ তাঁর।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অবহেলারও অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।