ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে এটিম, কিন্তু নিরাপত্তা সেই তলানিতেই
অধিকাংশ এটিএম-এই নিরাপত্তার ন্যূনতম বিধি মানা হচ্ছে না। এমনকী সদ্য চালু হওয়া এটিএম গুলির একটা বড় অংশের ক্ষেত্রেই কোনও নিরাপত্তারক্ষীকেও বহাল করা হচ্ছে না। অথচ শহরের নির্জন গলিতেও এটিএম খুলছে হুড়মুড়িয়ে।
গোয়েন্দা দফতরের কথায়, এটিএমগুলিতে নিরাপত্তার বিধি হিসাবে ক্যামেরা লাগানো তো হচ্ছে তবে তা কম রেজেলিউশনের ভিজিএ ক্যামেরা। ফলে কখনও স্পষ্ট ছবি পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তার উপর ক্যামেরাগুলি '৩৬০ ডিগ্রি ফেসিলিটি'-তে খামতি থাকছে বা বলা ভাল এগুলো বিজ্ঞানসম্মত না। অর্থাৎ সব কোণার ছবি নিতে অপারগ এই ধরণের ক্যামেরা। আর একটি সমস্যা হল, এটিএমের ভিতরে ক্যামেরা থাকলেও প্রবেশ দ্বারে কোনও ক্যামেরা রাখা হয় না। বেঙ্গালুরুর মতো কোনও ঘটনা ঘটলে এখানে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীকে শনাক্ত করা সম্ভব হবে না।
ক্য়ামেরার পাশাপাশি এটিএমগুলিতে নিরাপত্তা অ্যালার্মও ব্যবহার করা উচিত। কিন্তু কলকাতায় কেনও এটিএম-এই তা করা হয় না। কলকাতা পুলিশ এখন সমস্ত ব্যাঙ্কগুলিকে উন্নত মানের ক্যামেরা ও অ্যালার্ম লাগানোর জন্য বলেছে। এই অ্যালার্ম সরাসরি স্থানীয় থানার সঙ্গে যুক্ত করা থাকবে এমনই পরিকল্পনা করা হয়েছে।
তবে সাম্প্রতিক কালের কিছু এটিএম হামলা বা চুরির ঘটনায় দেখা গিয়েছে অপেক্ষাকৃত অনামী ব্যাঙ্ক এটিএমগুলির ক্ষেত্রেই আক্রমণের সংখ্য়া বেশি। একইসঙ্গে নিরাপত্তহীন এটিএমগুলোতেও নিরাপত্তার অভাব থাকায় সেখানে আক্রমণের সম্ভাবনা তীব্র হয়। কলকাতায় এটিএম গুলির নিরাপত্তা একেবারে তলানিতে। পুলিশের উদ্বেগের কারণও এটাই।