গান্ধীনগর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার কথা কখনওই ভাবিনি : লালকৃষ্ণ আদবানী
ভোপাল থেকে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইলেও গান্ধীনগর লোকসভা কেন্দ্রে জোর করে তাঁকে দাঁড় করানো হয়েছে। আর এই নিয়েই রাজনৈতিক দুনিয়া উথালপাথাল হয়ে গেলেও আদবানীর দাবী, মধ্যপ্রদেশের নেতৃত্ব ও বনঝু-শুভাকাঙ্খীরা চেয়েছিলেন আমি ভোপাল থেকেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। কিন্তু গান্ধীনগর থেকে না দাঁড়ানোর অভিপ্রায় কখনওই আমার ছিল না। এই নিয়ে বিজেপির মধ্যে কোনও অন্তর্দ্বন্ধও হয়নি বলে সাফ জানিয়ে দিলেন আদবানী।
খবর অনুযায়ী, গান্ধীনগরের বদলে ভোপাল থেকে নির্বাচনী লড়াই লড়তে চেয়েছিলেন বিজেপির এই বরিষ্ঠ নেতা। বিজেপির নির্বাচন কমিটি আদবানীকে গান্ধীনগরের আসন দেওয়ায় বেঁকে বসেছিলেন তিনি। তাঁর মানভঞ্জনে একজুটে মাঠে নেমেছিলেন, নরেন্দ্র মোদী, সুষমা স্বরাজ, অরুণ জোটলি, রাজনাথ সিং-সহ শীর্ষ নেতারা। কিন্তু তাতেও চিঁড়ে ভেজেনি। শেষমেশ আদবানীর কোর্টে বল ঠেলে রাজনাথ বলেছিলেন, উনিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। যদিও টানা ২ দিনের নাটকের পর আদবানী জানান, ভোপাল নয় গান্ধীনগর থেকেই লড়বেন তিনি।
আগামী প্রধানমন্ত্রী যে নরেন্দ্র মোদীই হবেন জানিয়ে দিলেন লালকৃষ্ণ আদবানী
এখন আদবানী বলছেন, গান্ধীনগর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা তাঁর জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। নির্বাচনে লড়ার জন্যই শুধু নয় গান্ধীনগর বা গুজরাতের সম্পর্ক আমার বহু পুরনো। তাই এই জায়গার সঙ্গে আমি ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত জানালেন আদবানী। গান্দীনগর থেকে ৫ বার জয়ী হয়ে সংসদে গিয়েছেন আদবানী।
আগামী প্রধানমন্ত্রী যে নরেন্দ্র মোদীই হবেন তাও জানিয়ে দিলেন আদবানী। ৩০ এপ্রিল গান্ধীনগরের ভাগ্য নির্বাচণ হবে। এদিনে গান্ধীনগরে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় লালকৃষ্ণ আদবানীর পাশেই ছিলেন বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী। ছিলেন আদবানীর মেয়ে প্রতিভাও। কোনওদিনই মোদী-আদবানীর সম্পর্কের সমীকরণটা মসৃণ ছিল না। এমনকী কেন্দ্রীয় কমিটির যে বৈঠকে নরেন্দ্র মোদীর নাম প্রধানমন্ত্রী পদপ্রা৪থী হিসাবে ঘোষণা করা হয়, সেই বৈঠকেও যাননি আদবানীরা। কারণ তিনি মোদীর প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ায় খুব একটা সন্তুষ্ট ছিলেন না বলে দলীয় সূত্রের খবর।
যেদিন আদবানীর নিজের লোকসভা কেন্দ্রের ঘোষণা হয়, নজিরবিহীন ভাবে সেদিনও বৈঠকে মনোমত কেন্দ্র পাবেন না বুঝতে পেরেই যাননি। যদিও পরে আরএসএস এবিষয়ে আদবানীকে পরাম৪শ দেয় এইভাবে মোদী বিরোধীতা করতে ভুল বার্তা যাবে। সে কারণেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা এদিন মোদীকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়া, নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ঘোষণা শুরু করেছেন আদবানী।