আচ্ছা চলতা হু দুয়াওমে ইয়াদ রখনা, মৃত অসম কিশোরের ভিডিও চোখে জল আনছে নেটিজেনদের
মৃত্যুর
পরও
যাতে
সকলে
তাঁকে
মনে
রাখে
হয়ত
এটাই
শেষ
ইচ্ছা
ছিল
অসমের
১৭
বছরের
ঋষভ
দত্তের।
আর
তাইতো
বৃহস্পতিবার
বেঙ্গালুরুতে
তাঁর
মৃত্যুর
পরও
কিশোরের
গান
ভাইরাল
সোশ্যাল
মিডিয়ায়।
ঋষভ
২০১৯
সালে
তার
মিষ্টি
গলার
গানের
ভিডিও
নেটিজেনদের
প্রতিক্রিয়ায়
ভাইরাল
হয়ে
যায়
এবং
একরাতের
মধ্যেই
তাকে
ইন্টারনেট
সেনসেশন
বানিয়ে
দেয়।
অসমের তিনসুকিয়ার কাকোপাথারের বাসিন্দা ১৭ বছরের ঋষভ দত্ত ৯ জুলাই বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। ২ বছর আগে রক্তের জটিল রোগে আক্রান্ত হয় সে। রক্তের কোষ বিভাজনের প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ফলে ক্রমেই শরীর ভাঙতে শুরু করে। প্রয়োজন ছিল বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট। সেই প্রক্রিয়া চলছিল। কিন্তু সব চেষ্টা বিফলে গেল। হয়ত কিশোর তার মৃত্যুর আগাম খবর জানতে পেরেছিল আর তাই সব যন্ত্রণা সহ্য করেও গিটার হাতে গেয়ে উঠেছিল, 'আচ্ছা চলতা হু দুয়াওমে ইয়াদ রখনা।’
কিশোর ঋষভের মৃত্যুর পর ফের তার ভিডিও ফেসবুকে ঘুরতে শুরু করে এবং নেটিজেনরা এই ভিডিও দেখার পর চোখের জল ধরে রাখতে পারেনি। ফেসববুক ব্যবহারকারী মনজিত গগৌই মৃত ঋষভের দুটি গানের ভিডিও শেয়ার করেন এবং মুহূর্তের মধ্যে ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে যায়। একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে ঋষভ গিটার বাজিয়ে ২০১৬ সালের হিট গান 'চন্না মেরেয়া’ গাইছেন, সেই সময় তিনি হাসপাতালে। তিনি ২০১৩ সালের ছবি ইয়ে জওয়ানি হ্যয় দিবানি সিনেমার কবীরা গানটিও গেয়েছেন। সেই সময় স্বাস্থ্যকর্মী ও নার্সরা রয়েছেন তার ঘরে এবং তাকে অনুপ্রাণিত করছে।
প্রথমে বেঙ্গালুরুর খ্রিস্টান মেডিকেল কলেজ এবং পড়ে বেঙ্গালুরুরই একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলেছে তাঁর। সেই সময়ই গান গেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে শুরু করে ঋষভ। আর তাতেই ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে তাঁর ফলোয়ার্সের সংখ্যা। তরুণের অসুস্থতার বিষয় প্রকাশ্যে আসায় তাঁর অনুগামীরা অর্থ সংগ্রহ শুরু করেন। সেই অর্থ পৌঁছে দেওয়া হয় ঋষভের চিকিৎসার জন্য। এমনকি অসম প্রশাসন ২০১৯ সালের অক্টোবরে ৫০ হাজার টাকা তার পরিবারের হাতে তুলে দেয়। কিন্তু ঋষভের শরীর চিকিৎসায় সাড়া দেয়নি।
ঋষভের শেষ ভিডিওগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় হাজারেরও বেশি লাইক ও শেয়ার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি নেটিজেনরা কিশোরের মৃত্যুর খবর শোনার পর আবেগঘন মন্তব্য পোস্ট করেছেন।