নেতাজিকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি ফরাসি ঐতিহাসিকের, জীবিত ছিলেন ১৯৪৭ সালের পরেও
১৯৪৭ সালেও জীবিত ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, ১৯৪৫ সালে তাঁকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বন্দি করা হয়। কিন্তু গোপন রিপোর্ট অনুযায়ী ১৯৪৭ সালে তিনি পালিয়ে যান ।
নেতাজির অন্তর্ধান নিয়ে ফ্রেঞ্চ সিক্রেট সার্ভিসেস-এর রিপোর্টকে এবার সমর্থন করল ফরাসি ঐতিহাসিক জেপিবি মোরের কিছু তথ্য-প্রেমাণ। সম্প্রতি ফ্রেঞ্চ সিক্রেট সার্ভিসেস দাবি করেছে, ১৯৪৫ সালের বিমান দুর্ঘটনায় মারা যাননি নেতাজি। জেপিবি মোরের গবেষণা অনুযায়ী ১৯৪৭ সালের পরেও জীবিত ছিলেন নেতাজি।
[আরও পড়ুন:বিমান দুর্ঘটনায় ১৯৪৫-এ মারা যাননি নেতাজি, ফের কারা বলছেন একথা জেনে নিন]
ন্যাশনাল আর্কাইভ অফ ফ্রান্সের একটি গোপন রিপোর্ট উদ্ধৃত করে জেপিবি মোর জানিয়েছেন, ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেনডেন্স লিগের তিনজন স্বনামধন্য ব্যক্তিকে ও হিকারি কিকানের চারজন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। মোরের গবেষণা অনুযায়ী এই সাতজনকে জাপানের পরাজয়ের পর অগাস্ট মাসে গ্রেফতার করা হয়। সেসময়ে তাঁদেরকে যুদ্ধপরাধী হিসেবেই গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছন মোরে। সেক্ষেত্রে চারজনকে নাম ধরে চিনলেও তিনজন আইআইএল সদস্যদের মধ্যে একজন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু থাকতেই পারেন বলে মনে করছেন মোরে। সেপ্টেম্বর ১৯৪৫ ও ফ্রেঞ্চ সিক্রেট সার্ভিসেস-এর ১৯৪৭ -এর রিপোর্ট মিলিয়ে মোর জানতে পারেন, নেতাজিকে ওইসময়ে যুদ্ধপরাধী হিসেবে বন্দি করা হয়েছিল।
কিন্তু ১৯৪৭ সালের একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, যে নেতাজি পালিয়ে গিয়েছেন। রিপোর্টে ইংরেজিতে 'ইভেড' কথাটি লেখা রয়েছে, যার ইংরেজিতে প্রতিশব্দ 'এসকেপ'। ফরাসি অভিধানে ইভেড কথাটির মানে গ্রেফতারি বা হেফাজত থেকে পালিয়ে যাওয়া। সেক্ষেত্রে গ্রেফতার বা আটক হলে তবেই পালানোর উল্লেখ রয়েছে বলে মনে করছেন মোর। তিনি জানিয়েছেন, ১৯৪৭ সালের গোপন রিপোর্ট যদি মেনে নেওয়া যায় তাহলে ১৯৪৫ সালের অগাস্ট মাসে নেতাজিকে বন্দি করা হয়েছিল এবং পরবর্তীকালে তিনি পালিয়ে গিয়েছিলেন। তাহলে এই সিদ্ধান্তে আসা যেতেই পারে যে ১৯৪৫ সালের তাইহোকু বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয়নি।
১৯৪৫ সালের একটি রিপোর্টে আইআইএল ও নেতাজির আইএনএ-র সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অবশ্য সেই সমস্ত সম্পত্তি বা ওয়ার ট্রেজার কোথায় তা জানতে পারেননি ফরাসি ঐতিহাসিক।