নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর কিছু অমর উবাচ যা যুবসমাজকে অনুপ্রাণিত করে আজও
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর অমর কিছু উক্তি যা যুব সমাজকে অনুপ্রাণিত করে আজও
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু নামের মধ্যেই জড়িয়ে রয়েছে এক বুক চাপা আবেগ। সাহসী এই বঙ্গসন্তানকে ঘিরে যে সমস্ত অধ্যায় লেখা হয়েছে তার একাংশে যেমন যুদ্ধের দামামার শব্দ রয়েছে, তেমনই তার অন্য অংশে রয়েছে রহস্যের মেঘ। এই দুইয়ের মিশেলে নেতাজি বাঙালি তথা ভারতবাসীর কাছে এক যুগ পুরুষের নাম হয়ে উঠেছেন। যাঁর জীবনের বিভিন্ন দিক চলার পথের প্রত্যেকটি দিনের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক নেতাজির কিছু অমর বাণী।
সততা ও অনুপ্রেরণা
যুব সমাজ যখন বিভ্রান্ত হয়ে ওঠে সৎ- অসৎ পথ বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে, তখন নেতাজির একটি বাণী অত্যন্ত উপযোগী। তিনি বলেন, 'নিজের প্রতি সত্য হলে বিশ্বমানবের প্রতি কেউ অসত্য হতে পারে না '
বেঁচে থাকা আর টিকে থাকার মধ্যে পার্থক্য
জীবন সংগ্রামে বেঁচে থাকা আর শুধুমাত্র টিকে থাকার মধ্যে বেশ খানিকটা পার্থক্য আছে। আর সেই পার্থক্য আরও স্পষ্ট করে দেয় সুভাষ চন্দ্রের এই বাণী,' মানুষ যতদিন বেপরোয়া, ততদিন সে প্রাণবন্ত '।
ভাবাদর্শ সম্পর্কে নেতাজির বক্তব্য
কোন রাস্তাকে একজন বেছে নেবে জীবনের বড়পদক্ষেপে নেওয়ার ক্ষেত্রে? উত্তর মিলছে , নেতাজির একটি বক্তব্যে। তিনি বলেন ' জগতের সব কিছু ক্ষণভঙ্গুর। শুধু একটা জিনিস ভাঙে না, সে বস্তু, ভাব বা আদর্শ ' ।
স্বাধীনতা ও নেতাজির বক্তব্য
শুধুমাত্র দেশের স্বাধীনতা নয় , স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার গুরুত্বও বারবার তুলে ধরেছেন নেতাজি। আর সেই মর্মেই তিনি বলেছেন, 'স্বাধীনতা দেওয়া হয়না, ছিনিয়ে নিতে হয়।' আর দেশের সংগ্রামের নিরিখে তাঁর বার্তা ছিল, 'তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব'।
অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ নয়..
আগাগোড়া সততার রাস্তায় চলা, নির্ভীক জীবনযাপনে অভ্যস্ত নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু বহুবার বলেছেন, 'মনে রাখতে হবে যে সবচেয়ে বড় অপরাধ হল অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ।'
লড়াই নিয়ে বার্তা
কোনপথে
লড়াই
করা
যাবে?
উত্তর
এসেছে
নেতাজির
এই
বাণী
থেকে..
'ভারত
ডাকছে।
রক্ত
ডাক
দিয়েছে
রক্তকে।
উঠে
দাঁড়াও
আমাদের
নষ্ট
করার
মতো
সময়
নেই।
অস্ত্র
তোলো!....যদি
ভগবান
চান
,
তাহলে
আমরা
শহিদের
মৃত্যু
বরণ
করব।'
কোনপথে জীবনদর্শন এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে?
এই প্রশ্নের উত্তরে নেতাজির বক্তব্য, ' কোনও একটা চিন্তনের জন্য একজন মৃত্যুবরণ করতে পারেন। কিন্তু সেই চিন্তনের মৃত্যু হয় না। সেই চিন্তন একজনের মৃত্যুর পর হাজার জনের মধ্যে ছড়িয়ে যায়।'
'কদম কদম ... খুশিকে গীত..'
শুধু রাজনৈতিক সংগ্রাম নয়, জীবন সংগ্রামের বিষয়েও নেতাজি একাধিক বার্তা দেন। তবে, আজাদ হিন্দু ফৌজের প্রতি তাঁর এই বার্তা সংগ্রাম ভাবনাকে জোরালো করে। তিনি বলেন, 'আমরা যখন দাঁড়াব, আজাদহিন্দ ফৌজকে গ্র্যানাইটের দেওয়াল হয়ে দাঁড়াতে হবে। আমরা যখন মার্চ করব তখন আজাদহিন্দ ফৌজকে স্টিমরোলার হতে হবে। '