গুমনামী বাবাই কি তবে নেতাজি! বিজেপি প্রশাসনের সাম্প্রতিক রিপোর্ট কী বলছে
ভারতের ইতিহাসের অন্যতম বড় রহস্যের জাল ছড়িয়ে রয়েছে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে ঘিরে। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক বড় অধ্যায় জুড়ে যে ব্যক্তিত্বের দাপট ছিল, সেই সংগ্রামীর আচমকা নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘিরে আজও একাধিক প্রশ্ন জাগে। একটা সময় উত্তরপ্রদেশে এক সাধু 'গুমনামী বাবা'কে ঘিরে নেতাজির ফিরে আসার জল্পনা অনেকেই করেছেন। যদিও তাতে আমল দিতে চায়নি বসু পরিবার সহ অনেকেই। কিন্তু ঠিক কী ঘটেছিল নেতাজির সঙ্গে? কেনইবা গুমনামী বাবার সঙ্গে তাঁর সংযোগের খবর উঠে আসছিল? রিপোর্টে ঠিক কী উঠে আসে দেখা যাক একনজরে।

বিষ্ণু সাহায় কমিশন ও তার রিপোর্ট
একটা সময় শোনা যেত, লালবাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যুর সঙ্গে যোগ ছিল নেতাজি নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার। তাসখন্দে লালবাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যু রহস্য় ঘিরেও এমনই প্রশ্ন উঠতে থাকে। এদিকে, নেতাজির নিখোঁজ হওয়ার পর উত্তরপ্রদেশে বহুদিন বাদে এক বাবার নাম প্রকাশ্যে আসে। তিনি গুমনামী বাবা। যাঁর সঙ্গে নেতাজির মিল রয়েছে বলে জল্পনা বাড়ে। আর সেই গুমনামী বাবা সম্পর্কে সাম্প্রতিককালে এক রিপোর্ট পেশ করে বিষ্ণু সাহায়।

গুমনামী বাবা ও রিপোর্ট!
উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় সাহায় কমিশনের রিপোর্ট পেশ হয়েছে। রহস্যজনকভাবে সেই রিপোর্টেও এই ঘটনার কোনও উপসংহার উঠে আসেনি। প্রশ্ন ছিল , গুমনামী বাবাই কি নেতাজি?যার জবাব সাফ ভাষায় দিতেই পারেনি রিপোর্ট।

নেতাজি ও গুমনামী বাবা!
নেতাজির নিখোঁজ হওয়ার বহু বছর বাদে উত্তরপ্রদেশের পূর্ব দিকে ১৯৮৫ সালে এক সাধুকে দেখা যায়। যাঁর সঙ্গে নেতাজির চেহারার মিলই শুধু নয়, কথা বার্তা থেকে স্বভাবেরও মিল পাওয়া গিয়েছিল। নেতাজির মতোই বাংলা, হিন্দি, ইংরাজিতে সমান পারদর্শী ছিলেন গুমনামী বাবা। পাশাপাশি নেতাজির মতোই তিনি গান ভালোবাসতেন। ছিল সিগারেটের অভ্যাসও। অনেকেই বলেন, সিগারেটে ব্র্যান্ডেও নেতাজি ও গুমনামী বাবার মিল ছিল।

উত্তর প্রদেশ সরকার ও তদন্ত কমিটি
২০১৩ সালে উত্তরপ্রদেশ সরকার গুমনামী বাবাকে নিয়ে একটি প্যানেল গঠন করে বিতর্কের সমাপ্তির উদ্দেশে। হাইকোর্টের নির্দেশিত সেই প্যানেল গঠিতও হয়। এরপর ২০১৬ সালে আরো একটি জুডিশিয়াল কমিটি তৈরি হয়, নেতাজি কি আসল গুমনামী বাবা.. প্রশ্ন কে সঙ্গে নিয়ে। এরপর আসে সাহায় কমিটির রিপোর্ট। তবে কোনও রিপোর্টই রহস্য উন্মোচন করতে পারেনি আজও।