গুমনামী বাবার বাক্সে মিলল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর পারিবারিক ফটোগ্রাফ!
লখনউ, ১৬ মার্চ : উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদে এককালে বসবাস করা সাধু গুমনামী বাবা ওরফে ভগবানজিকে নিয়ে রহস্য এখনও রয়ে গিয়েছে। তবে যারা মনে করেন গুমনামী বাবা আসলে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুই তাদের ধারণা এবার হয়তো আরও মজবুত হবে। কারণ জেলা কোষাগারে রাখা গুমনামি বাবার জিনিসপত্র থেকে বসু পরিবারের পুরনো ফটোগ্রাফ পাওয়া গিয়েছে।[স্বাধীন ভারতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সান্নিধ্য পেয়েছিলেন এঁরা!]
পরিবারের ছবি বাদেও নেতাজির বাবা জানকীনাথ বসু এবং প্রভাবতী বসুর ছবি পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি ১৯৮২ সাল থেকে ৮৫ সাল পর্যন্ত রামভবনের যে বাড়িতে গুমনামী বাবা জীবনের শেষ ৩ বছর ছিলেন সেই বাড়ির মালিক শক্তি সিং পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।
শক্তি সিং বলেন, "নেতাজির বাবা-মা ছাড়া পরিবারের ২২ সদস্যের ছবি দেখা যাচ্ছে এই ফটোগ্রাফে।" [বিমান দুর্ঘটনায় নয়, ১৯৮৫ সালে স্বাভাবিক মৃত্যু হয় নেতাজির!]
গুমনামী বাবার প্রকৃত পরিচয় জানতে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এলাহবাদের প্রশাসনিক কমিটির বিশেষ আমন্ত্রিত হিসাবে রয়েছেন। শক্তি সিং জানিয়েছেন, ১৯৮৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি নেতাজির ভাইঝি ললিতা বসু রাম ভবনে যান। ছবিতে পরিবারের সদস্যদের তিনি শনাক্ত করেন।
ছবি ছাড়াও আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রবীন সদস্য পবিত্র মোহন রায়ের একাধিক টেলিগ্রাম গুমনামী বাবার কাছে পৌঁছেছিল। অন্যদিকে দুর্গাপুজো ও ২৩ জানুয়ারি উপলক্ষেও (নেতাজির জন্মদিন) আর এক প্রবীন সদস্য সুনীলকান্ত গুপ্তর একাধিক টেলিগ্রাম গুমনামীর বাবাকে পাঠানো হয়েছিল। [নেতাজি অন্তর্ধান রহস্য : সব জানতেন নেহেরু, গান্ধী, প্যাটেল?]
ফৈজাবাদে সুভাষচন্দ্র বসু রাষ্ট্রীয় বিচার কেন্দ্রের নেতৃত্বে রয়েছেন শক্তি সিং। তিনি বলেন, "রামভবন থেকে উদ্ধার করা যে চিঠি ও টেলিগ্রামগুলি ফৈজাবাদ কোষাগারে রাখা হয়েছে তাতে ইঙ্গিত মেলে গুমনামী বাবা শুধুমাত্র একজন সাধু ছিলেন না, তিনি নিশ্চিতভাবে অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন।" [নেতাজি ও পরিবারের উপর গোপন নজরদারি চালানোর ঘটনা সত্য : নিজামুদ্দিন, নেতাজির দেহরক্ষী]