নেতাজির মৃত্যুবিতর্কে নতুন করে ইন্ধন জোগাল 'হ্যাজ' ও 'হ্যাড'!
কেন্দ্র একদিনের মধ্যেই কার্যত ইউ টার্ন নিয়ে জানিয়েছে, নেতাজির মৃত্যু নিয়ে নতুন কোনও সূত্র পেলে তা অবশ্যই বিচার করে দেখা হবে।
একদিন আগেই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু রহস্যের পর্দা সরিয়ে কেন্দ্র জানিয়েছিল ১৯৪৫ সালে তাইওয়ানে বিমান দুর্ঘটনাতেই প্রয়াত হন তিনি। তথ্য জানার অধিকার আইনে করা এক প্রশ্নের উত্তরে এমনটা জানায় কেন্দ্র। যদিও কেন্দ্র একদিনের মধ্যেই কার্যত ইউ টার্ন নিয়ে জানিয়েছে, নেতাজির মৃত্যু নিয়ে নতুন কোনও সূত্র পেলে তা অবশ্যই বিচার করে দেখা হবে।
বলা হয়েছে, ২০০৬ সালে ইউপিএ সরকারের আমলে যে তথ্য উঠে এসেছে তার ভিত্তিতেই আরটিআই জবাব দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে কোনও নতুন সূত্রে উঠে এলে তার অনুসন্ধান করা হবে।
তবে আরটিআই জবাবে টাইপের ভুলে নতুন করে নেতাজি মৃত্যু নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, শাহনওয়াজ কমিটি বিচারপতি, জিডি খোসলা ও মুখার্জী কমিশনের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে কেন্দ্র এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে নেতাজি ১৯৪৫ সালে প্রয়াত হয়েছেন।
আর এখানেই বিপত্তি। কারণ ইংরেজিতে বক্তব্য জানানোর সময়ে ক্রিয়ার গন্ডগোল হয়েছে। 'হ্যাড' এর জায়গায় 'হ্যাজ' ব্যবহার করা হয়েছে। 'নেতাজি হ্যাড ডায়েড' এর পরিবর্তে 'নেতাজি হ্যাজ ডায়েড' লেখা হয়েছে। ২০০৬ সালের রিপোর্ট এখন পেশ করলে তা এখনকার রিপোর্ট হবে না। সরকার তখনকার সিদ্ধান্ত এখন জানাচ্ছে মাত্র। এই বিষয়টি সামনে আসার পরই অবশ্য ভুল শুধরে বিবৃতিও দেওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি যেহেতু নেতাজি, তাই বিতর্ক উসকে উঠেছে।