নেপালে রাজনৈতিক অস্থিরতার ছাইচাপা আগুন ছড়াচ্ছে! ভারতকে বিপাকে ফেলতে গিয়ে মসনদ টলছে ওলির
বুধবারই খবর ছিল যে নেপালে নিজের পার্টির মধ্যেই কোণঠাসা হতে শুরু করেন ভারতে হুঁশিয়ারি দেওয়া নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। এদিন সকালেই পার্টির মধ্যে তাঁর অবস্থান আরও স্পষ্ট হল। সকাল থেকেই নেপালের পরিস্থিতি ক্রমেই উদ্বেগজনক হয়।
নেপালের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোনদিকে?
এদিন নেপালে জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী ওলি বিশেষ বক্তব্য রাখবেন বলে খবর। তার আগে তিনি কাঠমান্ডুতে দেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন। আর নেপালের প্রধানমন্ত্রীর এই পদক্ষেপের পর থেকেই কাঠমান্ডুর রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে জল্পনা চড়তে শুরু করেছে।
নিজের পার্টির বৈঠকে নেই ওলি?
ভারতের সঙ্গে শত্রুতা বাড়ানোয় নেপালের প্রধানমন্ত্রী তাঁর নিজের দল কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যেই একঘরে হয়ে গিয়েছেন। তাঁর পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে নেপালের বালুওয়াটারে কমিউনিস্ট পার্টির এদিনের বৈঠকে ওলিকে দেখাই যায়নি। গোটা বৈঠকে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। যা নেপালের রাজনীতির পক্ষে আরও উদ্বেগনক সংবাদ।
আটকে গিয়েছে বাজেট সেশন
নেপালের যে সংসদ একদিন ভারতের উত্তরাখণ্ডের ৩ অংশে নিজের বলে মানচিত্র প্রকাশে উদ্যোগ নিচ্ছিল, সেই সংসদ এদিন বাজেট সেশন 'প্রোরোগ' বা স্থগিত রাখে মুলতুবি না করে। এই সিদ্ধান্ত খোদ নেপালের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে নেওয়া হয়।
হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ওলি
এর আগে গতকাল বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। যদিও পরবর্তীকালে তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন বলে দাবি করা হয় বিভিন্ন সূত্রে। উল্লেখ্য, ওলিকে মসনদ ছাড়া করার জন্য সরব হয়েছেন তাঁরই দলের বহু নেতা। ওলির অকারণ ভারত বিরোধিতা তাঁর দল নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না।
পাকিস্তানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর চিনে মোদীর ডিজিটাল স্ট্রাইক!বঙ্গবিজেপির সভায় রবিশঙ্করের হুঙ্কার