রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা! এশিয়া জুড়ে পেঁয়াজের 'ঝাঁঝে' চোখে জল
কাঠমাণ্ডু হোক কিংবা কলম্ব, রান্নাঘে দুঃস্বপ্ন। কেননা পেঁয়াজের দাম আকাশ ছোঁয়া। এর কারণ বিশ্বের সব থেকে বড় পেঁয়াজ রফতানি কারক দেশ ভারত তাদের পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
কাঠমাণ্ডু হোক কিংবা কলম্ব, রান্নাঘে দুঃস্বপ্ন। কেননা পেঁয়াজের দাম আকাশ ছোঁয়া। এর কারণ বিশ্বের সব থেকে বড় পেঁয়াজ রফতানি কারক দেশ ভারত তাদের পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। নির্দিষ্ট সময়ের পরেও বর্ষা চলতে থাকায় ভারতের অনেক জায়গাতেই পেঁয়াজ চাষে বাধা তৈরি হয়েছে। আর তার প্রভাব গিয়ে পড়েছে নেপালের রান্না ঘরেও।
নেপালের বাসিন্দারা বলছেন, সেখানে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণেরও বেশি। পাকিস্তানে চিকেন কারি, বাংলাদেশি বিরিয়ানি কিংবা ভারতের সম্বর, পুরো এশিয়াই ভারতের পেঁয়াজের দিকে মুখিয়ে থাকে। এই পরিস্থিতিতে চিন আর মিশরের দিকে হাত বাড়াচ্ছে দেশগুলি। যদিও তা আসতে তুলনামূলক বেশি সময় লেগে যাবে।
গত রবিবার ভারত পেঁয়াজের রফতানি বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানায়। সেই সময় দেশের কোনও কোনও বাজারে পেঁয়াজের মূল্য পৌঁছে গিয়েছিল কেজি পিছু ১০০ টাকায়। গত ছয় বছরে যা সর্বাধিক। পেঁয়াজের এই দামের জন্য চাষীরা আবহাওয়াকেই দায়ী করছেন। একেতে গরম চলেছে দীর্ধ সময় ধরে। পরে বর্ষা আসলেও, বৃষ্টির পরিমাণ ছিল সাধারণ সময়ের থেকে বেশি।
ভারত পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর থেকে প্রতিবেশী বাংলাদেশ যোগযোগ করতে শুরু করেছে, মিয়ানমার, মিশর, তুর্কি এবং চিনের সঙ্গে। বাংলাদেশে পেঁয়াজের কেজি ১২০ টাকা। ২০১৩ সালের পর থেকে সর্বাধিক। সেখানকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, এশিয়া থেকে ইউরোপ সর্বত্র বেড়েছে এই দাম। কেননা অন্য রফতানিকারী দেশগুলি ভারতের নিষেধাজ্ঞার সুযোগ নিচ্ছে। মিশর থেকে পেঁয়াজ আসতে ৩০ দিন আর চিন থেকে আসতে ২৫ দিন সময় লেগে যাবে।
অপর প্রতিবেশী শ্রীলঙ্কা থেকে পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে, সেই দেশ ইতিমধ্যেই মিশর ও চিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। একসপ্তাহের সেখানে পেঁয়াজের দাম পঞ্চাশ শতাংশের বেশি বেড়েছে। শ্রীলঙ্কায় প্রতি কিলোগ্রাম পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ শ্রীলঙ্কার টাকায়।
ভারতীয় পেঁয়াজের অপর বড় আমদানিকারী দেশ মালয়েশিয়া মনে করছে এই নিষেধাজ্ঞা খুব কম সময়ের জন্য।
২০১৮-১৯ সালে ভারত থেকে পেঁয়াজ রফতানির পরিমাণ ছিল প্রায় ২.২ মিলিয়ন টন। যার অর্ধেকের বেশি রফতানি হয়েছে এশিয়ার দেশগুলিতে।