প্রশ্নের মুখে আরটি-পিসিআর টেস্টের গ্রহণযোগ্যতা, উপসর্গ থাকলেও কেন আসছে নেগেটিভ রিপোর্ট?
প্রশ্নের মুখে আরটি-পিসিআর টেস্টের গ্রহণযোগ্যতা, উপসর্গ থাকলেও কেন আসছে নেগেটিভ রিপোর্ট?
অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল ৪ লক্ষের গণ্ডি। শনিবার দেশে মোট সংক্রমিত হলেন ৪০২,১১০ জন। মারা গেলেন ৩,৫২২ জন। কিন্তু এই পাহাড়প্রমান সংক্রমণের মধ্যেও করোনা টেস্ট নিয়ে গোটা দেশেই বাড়ছে উদ্বেগ। পরিসংখ্যান বলছে গোটা দেশে করোনা পরীক্ষা করা উপসর্গযুক্ত প্রায় ২০ শতাংশ মানুষের রিপোর্ট নেগেটিভ আসছে। যার ফলে করোনা ঠেকাতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চিকিৎসকেরাও।
কলকাতাকেও টেক্কা, করোনা সংক্রমণে ও মৃত্যুতে রাজ্যে সবার শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা, উদ্বেগ
বাড়ছে উদ্বেগ
অন্যদিকে আরটি-পিসিআর টেস্টের চাহিদা আকাশছোঁয়া থাকলেও রিপোর্ট নেগেটিভ থাকায় বাড়ছে ধোঁয়াশা। এমনকী পজেটিভ রিপোর্ট না থাকায় হাসাপাতেল ভর্তি হতেও সমস্যা হচ্ছে। ফলস্বরূপ অচিরেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ছেন অনেকে। অন্যদিকে ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ভুয়ো রিপোর্টের কথা দীর্ঘদিন থেকেই শোনা যাচ্ছিল, এমতবস্থায় এবার আরটি-পিসিআর টেস্টের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় নতুন করে বাড়ছে উদ্বেগ।
আরটি-পিসিআর টেস্টের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন
এদিকে করোনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে আরটি-পিসিআর টেস্টকেই স্যান্ডার্ড বলে ধরা হচ্ছিল এতদিন। যদিও একশো শতাংশ নির্ভুল রেজাল্ট এই টেস্টেও মেলা সম্ভব না বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনকী ইন্ডিয়ান ইন্সস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স এই টেস্ট ৯৫ শতাংশ কার্যকরী বলে জানিয়েছে। আরটি-পিসিআর মানে রিয়েল-টাইম রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন পলিমারেজ চেইন বিক্রিয়া। এই পরীক্ষায় নাক বা গলা থেকে একটি নমুনা (সোয়াব) নেওয়া হয়। সোয়াব নেওয়ার পরে এটি একটি তরল পদার্থে রাখা হয়। ভাইরাস সেই পদার্থের সঙ্গে মিশে যায় এবং এতে সক্রিয থাকে। তারপরেই ল্যাবে বাকি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।
কেন আসছে ‘ফলস নেগেটিভ’ রিপোর্ট ?
যদিও উপসর্গ থাকার পরেও রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পিছনে করোনা একাধিক নতুন ভেরিয়েন্টকে কাঠগড়ায় তুলেছেন অনেকে। যদিও এই বিষয়ে বিতর্কও রয়েছে। তবে অনেক বিশেষজ্ঞই আবার বলছেন আরটি-পিসিআর টেস্টের সোয়াব নেওয়ার সময় ঘাটতি, সোয়াব নেওয়ার ভুল পদ্ধতিতে ফলস নেগেটিভ রিপোর্ট আসতে পারে। পাশাপাশি ভাইরাসকে সচল রাখতে প্রয়োজনীয় পরিমাণে তরল হ্রাস, সোয়াব নমুনার অনুপযুক্ত পরিবহন নেগেটিভের কারণ হতে পারে।
নিশ্চিত হতে একাধিক ভিন্ন টেস্টের পরামর্শ
অন্যদিকে আরটি-পিসিআর টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ আসা প্রসঙ্গে বলা হচ্ছে উপসর্গ যুক্ত ব্যক্তিদের যখন মুখ বা নাক থেকে সোয়াব টেস্ট করানো হয়েছিল, সেই সময় ভাইরাস নাক বা মুখ অবধি ছড়াতে পারেনি। তাই রিপোর্টে অনেক সময় তা ধরা পড়ছে না। তবে আরটি-পিসিআর টেস্টে ফলস নেগেটিভ রিপোর্ট এলে ব্রোঙ্কোলেভোলার ল্যাভেজ টেস্টিং করানোরও পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।যাতে সংক্রমণ সম্পর্কে একশো শতাংশ নিশ্চিত হওয়া যায় বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে সিটি স্ক্যানের কথাও বলছেন অনেকে।