নিট ২০২১ হচ্ছে নির্ধারিত সময়েই, পরীক্ষা পিছানোর আবেদনে সাফ ‘না’ সুপ্রিম কোর্টের
নিট ২০২১ হচ্ছে নির্ধারিত সময়েই, পরীক্ষা পিছানোর আবেদনে সাফ ‘না’ সুপ্রিম কোর্টের
নিট নিয়ে ওলট-পালটের শেষ নেই। জল গড়িয়ে ছিল সুপ্রিম কোর্ট অবধি। সোমবার পরীক্ষা স্থগিত রাখার আবেদন খারিজ করল সুপ্রিমকোর্ট। শীর্ষ আদালতরে স্পষ্ট বক্তব্য নিট ২০২১ স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা হবে নির্ধারিত সূচি মেনে। প্রসঙ্গত উল্লেথ্য আদালতে এই পরীক্ষার দিন পুননির্ধারণের নির্দেশনা চেয়ে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেছিল একাংশের পরীক্ষার্থীরা। অর্থাৎ পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল তারা। কিন্তু এদিন তা খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
কী বলল সুপ্রিম কোর্ট ?
এদিকে গত পয়লা অগাস্ট থেকে নিট পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও বিভিন্ন সমস্যার কথা মাথায় রেখে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। বৈঠকের পর শিক্ষামন্ত্রক পরীক্ষার তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করে। আর তারপরেই হয় বিতর্ক। এদিকে সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া আবেদনপত্রে ১২ সেপ্টেম্বর নিট পরীক্ষার সূচী নির্ধারণকে 'স্পষ্টতই থামখেয়ালি' বলে দাবি করে একাংশ পড়ুয়া।
লঙ্ঘিত হচ্ছে 'ভারতের সংবিধানের ১৪ ধারা?
অন্যদিকে আচমকা পরীক্ষার এই সিদ্ধান্ত 'ভারতের সংবিধানের ১৪ ধারার লঙ্ঘন' করছে বলেও দাবি করা হয়েছিল। উঠেছিল বাতিলের দাবি। কিন্তু এদিন এদিন বিচারপতি এএম খানউইলকর, বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি সিটি রবিকুমারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এদিন কার্যত সহজেই সেই দাবি উড়িয়ে দেন। সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, "১ লক্ষেরও বেশি শিক্ষার্থী নিট পরীক্ষা দেয়। সামান্য কয়েকজন শিক্ষার্থীর আবেদনে তা স্থগিত করা যায় না।"
জোরদার লড়াইয়ে আইনজীবী সুমন্ত নুকালার
অন্যদিকে এই ইস্যু নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই জোর লড়াই চালাচ্ছিলেন আবেদনকারী পড়ুয়াদের পক্ষের আইনজীবী সুমন্ত নুকালার। পরীক্ষা পিছনোর মূল কারণ হিসাবে সিবিএসই-র দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষাকে হাতিয়ার করেন তিনি। রুটিন বলছে দ্বাদশ শ্রেনির পড়ুয়াদের ৬ সেপ্টেম্বর জীববিজ্ঞান পরীক্ষা এবং ৯ সেপ্টেম্বর পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষা রয়েছে। তাই পরীক্ষা ১২ তারিখ নিলে একই শিক্ষার্থীদের দুটি প্রধান বিজ্ঞান বিষয়ক পত্র এবং নিট-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হবে, যা মানসিক চাপেরও বড় কারণ হবে। এমনকী ফলাফলেও ছাপ পড়তে পারে।
হাতিয়ার করোনা সঙ্কট
অন্যদিকে পরীক্ষার্থীদের একাংশের দাবি, করোনা পরিস্থিতিতে দেশে বিভিন্ন রাজ্যে এখনও বিধিনিষেধ জারি রয়েছে। বাতিল করা হয়েছে অন্যান্য পরীক্ষাও। আবার কিছু রাজ্যে চলছে অন্যান্য পরীক্ষা। সেই পরীক্ষাগুলিও মেডিকেল এন্ট্রান্সের সঙ্গে একইদিনে রাখা হয়েছে। তাই বাতিল করা হয় ১২ তারিখের নিট। কিন্তু কারও দাবিই আদপে ধোপে টেকেনি শীর্ষ আদালতের দরবারে।