করোনায় মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ, নতুন করে নির্দেশিকা জারি করল NDMA
করোনায় মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ, নতুন করে নির্দেশিকা জারি করল NDMA
দেশে করোনা (Coronavirus) সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। অনেকে ক্ষতিপূরণ (compensation) পেয়েছেন আবার অনেকে পাননি। যা নিয়ে সাধারণের উদ্দেশে নির্দেশিকা জারি করল জাতীয় বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বা এনডিএমএ। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যেসব পরিবারের সদস্যের মৃত্যু হয়েছে করোনা সংক্রমণের কারণে, তাঁদেরকে ২৩ মের মধ্যে সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবিপত্র পেশ করতে হবে।
৩০ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ
সারা দেশে ২০২২-এর ২০ মার্চের আগে করোনায় মৃত্যু হলে এব্যাপারে আবেদন করা যাবে। আর ক্ষতিপূরণ দাবি করার ৩০ দিনের মধ্যে তা মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। উল্লিখিত দিনের পরে মৃত্যু হলে, ৯০ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হবে। এসঙ্গে এও বলা হয়েছে, ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আগেকার যে নির্দেশিকা ছিল, দারি করার ৩০ দিনের মধ্যে তা দেওয়া, তাও জারি থাকবে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের প্রেক্ষিতে নির্দেশিকা
সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে করোনায় মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেওয়ার এবং এনডিএমএকে এব্যাপারে একটি রূপরেখা প্রণয়ন করতে বলেছিল। তবে ২৪ মার্চ কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সুপ্রিম কোর্টে জানানো হয় এব্যাপারে মিথ্যা দাবির কথা। এছাড়াও সময় বেধে দেওয়ার কথাও জানানো হয়। তারপরেই নির্দেশিকা জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। তারই ভিত্তিতে এনডিএমএ নির্দেশিকা দিয়েছে।
কেস টু কেস বিবেচনা
অনেক ক্ষেত্রেই গতে পারে অসুবিধার কারণে কোনও দাবিদার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করতে পারেননি। সেরকম ক্ষেত্রে ওই দাবি নিষ্পত্তি কমিটির (গ্রিভান্স রিড্রেসাল কমিটি) কাছে পাঠাতে হবে। এই ধরনের দাবির ক্ষেত্রে কেস টু কেস ভিত্তিতে ওই কমিটি বিবেচনা করবে। যদি নিষ্পত্তি কমিটি দেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনও ব্যক্তি কিংবা পরিবার দাবি করতে পারেনি, তাও যোগ্যতার ভিত্তিতে বিবেচনা করতে হবে বলে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে।
জাল দাবির ক্ষেত্রে শাস্তি
নির্দেশিকায় জাল দাবি নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। বলা হয়েছে জাল দাবি আটকাতে প্রথম দফায় করা আবেদনের ৫% এলোমেলো ভাবে যাচাই-বাছাই করা হবে। যদি দেখা যায় কেউ জাল দাবি করছে, তাহলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ২০০৫-এর ধারা ৫২-এর অধীনে বিবেচনা করা হবে এবং সেই অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে।
এদিকে এদিন দেশে বাড়তে থাকা করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মধ্যে সমন্বয়ের ওপরে জোর দিয়েছেন। এছাড়াও পাবলিক প্লেসে করোনা বিধি মেনে চলার ওপরেও জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে শিশুদের টিকা দেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।
১২২ বছরে সর্বোচ্চ উষ্ণ মার্চ, তাপপ্রবাহ ক্ষতি করছে স্বাস্থ্য ও ফসলের