প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ইউপিএ-কে পিছনে ফেললেন মোদী, জানুন কোথায় দাঁড়িয়ে এনডিএ সরকার
২০২২ সালের মধ্যে সকলের নিজস্ব বাড়ি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইন্দিরা আবাস যোজনা অনেকদিন ধরেই রয়েছে কিন্তু সেই প্রকল্পকেই ২০১৬- ১৭ আর্থিক বছরে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নাম দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ১৯৮৫ সাল থেকেই কখনও ইন্দিরা আবাস যোজনা কখনও আবার রাজীব আবাস যোজনার নামে এই প্রকল্প চলে আসছে। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, গৃহনির্মাণের ক্ষেত্রে ইউপিএ টু সরকারের থেকে অনেক বেশি সফল বর্তমান এনডিএ সরকার।
কিন্তু সবার আগে জেনে নিতে হবে কী এই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা
এই যোজনায় পাকা বাড়ি করতে কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক বরাদ্দ দিচ্ছে। সেইসঙ্গে শহরাঞ্চলে বাড়ি করতে গেলে রাজ্য সরকারের পাশাপাশি কেন্দ্রও ভর্তুকি ও আর্থিক অনুদান দিচ্ছে। একইসঙ্গে রয়েছে ক্রেডিট লিঙ্কড সাবসিডি সিস্টেম, যাতে গৃহঋণের সুদে ভর্তুকি দেবে কেন্দ্রীয় সরকার।
গ্রামাঞ্চলে গৃহ নির্মাণ
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় গ্রামাঞ্চলে ২০১৯ সালের মধ্যে ১ কোটি পাকা বাড়ি নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। সেইসঙ্গে বাড়ির ন্যূনতম বর্গমিটার ২০ থেকে বাড়িয়ে ২৫ করা হয়েছে। আর্থিক বরাদ্দ বাড়িয়ে বাড়ি প্রতি ৭০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
শহরাঞ্চলে গৃহ নির্মাণ
ক্রেডিট লিঙ্কড সাবসিডি সিস্টেম ও রিয়েল এস্টেট রেগুলেটরি অ্যাক্ট শহরাঞ্চলেও নিজস্ব বাড়ি করতে বা কিনতে চালিকা শক্তির কাজ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। ৯ লক্ষ ও ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গৃহঋণের ক্ষেত্রে সরকার যথাক্রমে ৪ শতাংশ ও ৩ শতাংশ হারে সুদে ভর্তুকি দেওয়ার কথা ঘোষণা করার পর দুই - তৃতীয়াংশ মানুষ গৃহঋণ নিতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ছুটবেন বলেও দাবি করা হচ্ছে।
কোথায় দাঁড়িয়ে এনডিএ সরকার
ইউপিএ টু সরকারের শেষ দু বছরে ইন্দিরা আবাস যোজনায় বছরে মাত্র ১০ লক্ষ বাড়ি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এনডিএ সরকারের গত অর্থবর্ষেই দেশজুড়ে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ২৮ লক্ষেরও বেশি বাড়ি তৈরি হয়েছে। নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই প্রকল্প উল্লেখযোগ্য সফল হয়েছে ঠিকই, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নাম দেওয়ার পর থেকে এই যোজনায় বাড়ি করার হার বেড়েছে। অবশ্য ২০১৯ এর মধ্যে ১ কোটি বাড়ির লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে হলে বছরে গৃহনির্মাণের সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে কেন্দ্র সরকারকে।

কেন্দ্রীয় সরকারের এই যোজনা আরও গতি পেয়েছে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসায়। সেইসঙ্গে জন ধন অ্যাকাউন্টও আরেকটি কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় গৃহঋণের সুদ কিছুটা হলেও কমেছে। সেইসঙ্গে জন ধন যোজনা সাধারণ মানুষকে ব্যাঙ্কমুখি করতে সফল হয়েছে।
মোটের ওপর সকলের মাথায় ছাদ করে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রায় শুরুটা মন্দ হয়নি এনডিএ সরকারের। কিন্তু সার্বিকভাবে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা কোথায় দাঁড়িয়ে তা বুঝতে আরও একটি অর্থবর্ষ অপেক্ষা করতে হবে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল।