কৃষকদের পাশে এনডিএ সাংসদ! বেসুরো শরিকের 'দিল্লি চলো' ডাকে অস্বস্তিতে বিজেপি
কেন্দ্রের নয়া তিনটি কৃষি আইনকে 'কৃষক বিরোধী' হিসেবে উল্লেখ করে বেশ কয়েকদিন ধরেই সরব হয়েছে বিজেপি শরিক রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টির সাংসদ হনুমান বেনিওয়াল। এবার এই সাংসদ প্রতিবাদীদের পাশে থাকার ডাক দিয়ে দুই লক্ষ কৃষক সমেত দিল্লি চলোর ডাক দিয়েছেন। যা নিয়ে এবার অস্বস্তিতে পড়তে চলেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।

রাজস্থানে একা লড়েই বাজিমাত বিজেপির
সম্প্রতি রাজস্থানের স্থানীয় নির্বাচনে বিজেপির হাত ছেড়ে একা লড়েছিল বেনিওয়ালের দল। তবে তাতে বিজেপির কোনও লোকসান হয়নি। বরং কংগ্রেসকে চাপে ফেলে ভালো ফল করে বিজেপি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে দেয় বিজেপি। ২০টির মধ্যে ১৪টি জেলা পরিষদও দখল করে গেরুয়া শিবির। তাই বেনিওয়ালের একা চলার নীতি প্রশ্নের মুখে পড়ে দলের অন্দরেই। এবার তাই নিজের শক্তি প্রদর্শন করে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়তে দিল্লি চলোর ডাক বেনিওয়ালের।

কৃষকদের চিঠি কেন্দ্রের
এর আগে বৃহস্পতিবার কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব বিবেক আগরওয়াল চিঠি লেখেন আন্দোলনরত কৃষকদের। সেই চিঠিতেই তিনি তাদের ফের আলোচনায় বসার আবেদন জানান। কিন্তু ওই চিঠিতে তিনি এটা স্পষ্ট করে দেন যে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে কোনও দাবি বৈঠকের অ্যাজেন্ডায় যুক্ত করা সঠিক হবে না। যা নতুন এই কৃষি আইনের বাইরের বিষয়।

ফের আলোচনা নিয়ে আশাবাদী কেন্দ্রীয় সরকার
তবে কৃষকদের সঙ্গে ফের আলোচনা নিয়ে আশাবাদী কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রকের এক আধিকারিকের আশা, আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে দ্বিতীয় রাউন্ডের আলোচনা হতে পারে। গত বুধবার সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার তরফে সরকারকে জানানো হয়েছিল যে নতুন করে আলোচনা শুরু করতে হলে 'ইতিবাচক প্রস্তাব' লিখিত আকারে পাঠাতে হবে।

কৃষকদের অভিযোগ
কৃষকদের বক্তব্য, আগেরবার আইন সংশোধনের যে 'অর্থহীন' প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তার পুনরাবৃত্তি হলে চলবে না। দিল্লির সিঙ্ঘু, টিকরি ও গাজিপুর সীমানায় ৪০টি কৃষক সংগঠন আন্দোলন করছে। সেই আন্দোলনকারীরাই গড়ে তুলেছেন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। এদিকে শুক্রবার কিষাণ সংঘর্ষ কোঅর্ডিনেশন কমিটি কেন্দ্রের কাছে দাবি করেছে, প্রতিবাদী কৃষকদের জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করতে। যাতে দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে কৃষকরা সেখানে উপস্থিত হতে পারেন।