এবার বিজেপির 'মণ্ডল' কমিশন, প্রস্তাবে স্বাক্ষর রাষ্ট্রপতির
ওবিসি কোটার পর্যালোচনায় কমিশন গঠন করল কেন্দ্র। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এই সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছেন। কমিশন অন্য অনগ্রসর শ্রেণির নিয়ম এবং সুবিধাগুলি খতিয়ে দেখবে।
ওবিসি কোটার পর্যালোচনায় কমিশন গঠন করল কেন্দ্র। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এই সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছেন। কমিশন অন্য অনগ্রসর শ্রেণির নিয়ম এবং সুবিধাগুলি খতিয়ে দেখবে।
কমিশনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়েছে দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জি রোহিনীকে। বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে ওবিসি-র সাব ক্যাটাগরি চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। ১২ সপ্তাহের মধ্যে ওই রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
ওবিসির কেন্দ্রীয় তালিকায় থাকা জাতগুলির বর্তমান অবস্থা, সমভাবে সংরক্ষণের সুবিধা বন্টিত হয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখবে। একইসঙ্গে ওবিসির মধ্যে থাকা সাবক্যাটাগরির চিহ্নিতকরণ এবং শ্রেণিবদ্ধকরণের বিষয়টিও দেখবে নতুন গঠিত এই কমিশন।
এই মুহুর্তে যাদবদের মতো কোনও কোনও কমিউনিটি ওবিসি-র যাবতীয় সুবিধা ভোগ করে বলে অভিযোগ। কোনও কোনও পিছিয়ে পড়া শ্রেণির অভিযোগ, তারা সংরক্ষণের সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সংরক্ষণের সুবিধা থেকে বঞ্চিত এই শ্রেণির কাছেই পৌঁছতে চান। অন্য শ্রেণির কাছে যদি মণ্ডল কমিশনের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া যায়, তাহলে সমাজবাদী পার্টির মতো যাদব নির্ভর দল দুর্বল হয়ে পড়বে। ফলে মণ্ডল কমিশনের পর্যালোচনায় ফের কমিশন গঠন, বিজেপিকেই সাহায্য করবে বলে, মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
ক্ষমতার আসার পর থেকে গত তিন বছর ধরে ওবিসি-দের কাছে পৌঁছতে চাইছে বিজেপি। একইসঙ্গে মোদী এবং বিজেপি দলের সামাজিক ভিত্তিও নতুন করে সাজাতে চাইছে। এখনও পর্যন্ত বিজেপি শহরের দল হিসেবেই পরিচিত। নতুন করে কমিশন গঠন করে বিজেপি নিম্নবিত্ত তথা গ্রামের মানুষের কাছে পৌঁছতে চাইছে।
বিজেপির দ্বারা এই কমিশন গঠন একটি বৃত্তকে সম্পূর্ণ করল। কেননা, ১৯৯০ সালে খানিকটা বিজেপির পালের হাওয়া কেড়ে নিতেই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ভিপি সিং মণ্ডল কমিশনের সুপারিশ মতো ২৭ শতাংশ সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করেন।